Snakes : চন্দ্রবোড়া সাপ...! বর্ষায় উৎপাত বাড়ে! যদি কামড়ায় একবার, শরীরে কী হবে শুনলে কেঁপে উঠবেন

Last Updated:
Russel Viper Snake- বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বাংলা ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেই বেশি পরিচিত। বর্ষার স্যাতস্যাতে আবহাওয়ায় এই সাপের উপদ্রব বাড়ে। এক ছোবলে সত্যিই ছবি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই সাপ।
1/6
বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বাংলা ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেই বেশি পরিচিত। বর্ষার স্যাতস্যাতে আবহাওয়ায় এই সাপের উপদ্রব বাড়ে। এক ছোবলে সত্যিই ছবি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই সাপ। বাংলার বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই সাপের কামড়ে।
বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বাংলা ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেই বেশি পরিচিত। বর্ষার স্যাতস্যাতে আবহাওয়ায় এই সাপের উপদ্রব বাড়ে। এক ছোবলে সত্যিই ছবি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই সাপ। বাংলার বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই সাপের কামড়ে।
advertisement
2/6
কতটা ভয়ঙ্কর এই রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ? কামড় দিলেই কি মৃত্যু নিশ্চিত?  এটি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এ সাপ বেশি দেখা যায় এবং এটি ভারতের সবচেয়ে বড় চারটি সাপের মধ্যে একটি। রাসেলস ভাইবার সাপের দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা ত্রিকোণাকার। মাথার তুলনায় ঘাড় অনেকটাই সরু। শরীরের রঙ বাদামি, হলদে বাদামি অর্থাৎ কাঠ রঙের হওয়ায় শুকনো পাতার মধ্যে এই সাপ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে।
কতটা ভয়ঙ্কর এই রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ? কামড় দিলেই কি মৃত্যু নিশ্চিত? এটি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এ সাপ বেশি দেখা যায় এবং এটি ভারতের সবচেয়ে বড় চারটি সাপের মধ্যে একটি। রাসেলস ভাইবার সাপের দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা ত্রিকোণাকার। মাথার তুলনায় ঘাড় অনেকটাই সরু। শরীরের রঙ বাদামি, হলদে বাদামি অর্থাৎ কাঠ রঙের হওয়ায় শুকনো পাতার মধ্যে এই সাপ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে।
advertisement
3/6
চন্দ্রবোড়ার জিভের রঙ বাদামি বা কালো। সারা গায়ে স্পষ্ট বড়ো গাঢ় বাদামি গোলগোল দাগ থাকে, এই দাগগুলোর মাথা ছুঁচলো। অনেকসময় দাগগুলো এক সঙ্গে দেখতে শিকলের মতো লাগে। গোলাকার দাগগুলো দেখতে অনেকটাই চাঁদের মতো। দাগগুলোর চারপাশে কালো রঙের বর্ডার থাকে, তার মধ্যে সাদা বা হলুদের ছিটে লক্ষ্য করা যায়। পেটের দিকের আঁশ এর রঙ সাদা। এদের বিষদাঁত লম্বা। বিষদাঁতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫-১৬ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়ার বিষদাঁত পৃথিবীতে দ্বিতীয় সবচেয়ে বৃহৎ দাঁত।
চন্দ্রবোড়ার জিভের রঙ বাদামি বা কালো। সারা গায়ে স্পষ্ট বড়ো গাঢ় বাদামি গোলগোল দাগ থাকে, এই দাগগুলোর মাথা ছুঁচলো। অনেকসময় দাগগুলো এক সঙ্গে দেখতে শিকলের মতো লাগে। গোলাকার দাগগুলো দেখতে অনেকটাই চাঁদের মতো। দাগগুলোর চারপাশে কালো রঙের বর্ডার থাকে, তার মধ্যে সাদা বা হলুদের ছিটে লক্ষ্য করা যায়। পেটের দিকের আঁশ এর রঙ সাদা। এদের বিষদাঁত লম্বা। বিষদাঁতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫-১৬ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়ার বিষদাঁত পৃথিবীতে দ্বিতীয় সবচেয়ে বৃহৎ দাঁত।
advertisement
4/6
এই সাপ নিজেদের বিপন্ন মনে করলে আক্রমণ করে। বিষধর সাপ হিসেবে পৃথিবীতে চন্দ্রবোড়ার অবস্থান পঞ্চম। তবে, হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে সবার উপরে। আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে কামড়ের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে। এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। এই সাপের বিষ হেমোটক্সিক।
এই সাপ নিজেদের বিপন্ন মনে করলে আক্রমণ করে। বিষধর সাপ হিসেবে পৃথিবীতে চন্দ্রবোড়ার অবস্থান পঞ্চম। তবে, হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে সবার উপরে। আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে কামড়ের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে। এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। এই সাপের বিষ হেমোটক্সিক।
advertisement
5/6
হেমোটক্সিক বিষ প্রভাবিত করে রক্তের লোহিত কণিকাকে। এটি রক্তকণিকা ভেঙে দেয়। শরীরের কোষগুলিকে আক্রমণ করে। দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলি বিষকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায়। জানা যায়, গোখরো সাপের দংশনের গড় আট ঘণ্টা পর, কেউটে সাপের দংশনের গড় ১৮ ঘণ্টা পর ও চন্দ্রবোড়া বা রাসেলসস ভাইপারের দংশনের গড় ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন পর রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
হেমোটক্সিক বিষ প্রভাবিত করে রক্তের লোহিত কণিকাকে। এটি রক্তকণিকা ভেঙে দেয়। শরীরের কোষগুলিকে আক্রমণ করে। দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলি বিষকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায়। জানা যায়, গোখরো সাপের দংশনের গড় আট ঘণ্টা পর, কেউটে সাপের দংশনের গড় ১৮ ঘণ্টা পর ও চন্দ্রবোড়া বা রাসেলসস ভাইপারের দংশনের গড় ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন পর রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
advertisement
6/6
চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। কামড়ের স্থানে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব, এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে। এছাড়াও, বমি, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ কমে যাওয়া, এবং হৃদস্পন্দন কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার অভাবে অঙ্গহানি বা মৃত্যুও হতে পারে। এই সাপের বিষের প্রভাবে আচমকা রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে। রক্তবমিও শুরু হতে পারে। Anti Venom Serum বা AVS অবশ্য আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারে।
চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। কামড়ের স্থানে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব, এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে। এছাড়াও, বমি, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ কমে যাওয়া, এবং হৃদস্পন্দন কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার অভাবে অঙ্গহানি বা মৃত্যুও হতে পারে। এই সাপের বিষের প্রভাবে আচমকা রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে। রক্তবমিও শুরু হতে পারে। Anti Venom Serum বা AVS অবশ্য আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement