ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি? অভিযোগ, বিয়ের রাতে নববধূ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ঘুমের ওষুধ মেশানো দুধ খাইয়ে অচেতন করে বাড়ির আলমারি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
আরও পড়ুন: ধানের গোলায় মিলল ভয়ঙ্কর প্রাণী! যার মল বিক্রি হয় লাখ লাখ টাকায়, তারপর যা হল…
advertisement
সীতানগরের বাসিন্দা কুসুমা দেবী জানিয়েছেন, ছোট ছেলের জন্য পাত্রীর খোঁজ করছিলেন তিনি। সেই সময় জয়প্রকাশ নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে, নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে জানায় যে সে একটি গরিব মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকেই বিয়ের সমস্ত খরচ দিতে বলা হয়।
জয়প্রকাশ প্রথমে ৪০ হাজার টাকা নেয়, পরে আরও ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ৪ মে নগলা পদি মহাদেব মন্দিরে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর নববধূ শ্বশুরবাড়ি এসে ওঠে। ৬ মে রাতে কঙ্গন রীতির পরে নববধূ দুধে কেশর দেওয়ার কথা বলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। পরিবারের সকলেই অচেতন হয়ে পড়েন।
সকালে পরিবারের লোকজনের জ্ঞান ফিরতেই নববধূকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর আলমারি খুলে দেখা যায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং গয়না নিখোঁজ। পরিবারের সদস্যরা আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে ছয়জন লোক নববধূকে নিতে এসেছিল। যারা আদৌ কোনও আত্মীয় ছিল না, টাকা নিয়ে নাটক করছিল।
ঘটনা সামনে আসতেই আরও একটি বিষয় সামনে চলে আসে৷ যে যুবক নিজেকে নববধূর মামা পরিচয় দিয়েছিল, পরে সে জানায় তাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বিয়ের পর মাত্র ৫০০ টাকা দেয়।
ইনস্পেক্টর দেবেন্দ্র দুবে জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।