End of Earth: সেই দিন বেশি দূর নয়! ধ্বংস হবে পৃথিবী, শেষ হবে প্রাণের চিহ্ন, চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিল সুপার কম্পিউটার
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
End of Earth: শুনতে এটা কোনো সায়েন্স ফিকশন এর মতো লাগবে কিন্তু সুপারকম্পিউটার পৃথিবীতে জীবনের সমাপ্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। বিজ্ঞানীদের একটি দল সুপারকম্পিউটারের সাহায্যে জানতে পেরেছে যে পৃথিবীতে জীবন কিভাবে শেষ হবে...জানুন বিস্তারিত
মহাকাশের উচ্চতা বা সমুদ্রের গভীরতা—এই সব বিষয়ে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিষ্কার করছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের পৃথিবী এখন সবুজ-শ্যামল, তবে এই গ্রহে জীবনের শেষ কীভাবে হবে, তা নিয়েও নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছে। কখনও কোনো উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার খবর পাওয়া যায়, আবার কখনও উঠে আসে অন্য বিপদের কথা। আপনি কি কখনও ভেবেছেন, পৃথিবীর শেষটা কীভাবে ঘটবে?
advertisement
ডাইনোসরদের বিলুপ্তি নিয়ে বহু তত্ত্ব রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব হলো—এক বিশাল উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষেই ডাইনোসরদের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছিল। তাহলে কি আমাদের গ্রহও একদিন কোনো উল্কাপিণ্ডের আঘাতে শেষ হয়ে যাবে? এবার বিজ্ঞানীদের এক দল সুপারকম্পিউটারের সাহায্যে হিসেব করে দেখেছেন, পৃথিবীতে জীবনের অবসান ঠিক কখন এবং কীভাবে হবে।
advertisement
এই গবেষণার সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো, মানুষের বিলুপ্তির কারণ কোনো উল্কাপিণ্ড হবে না। বরং পৃথিবীতে জীবন শেষ হওয়ার পেছনে থাকবে আরও ভিন্ন একটি কারণ। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজ্ঞানীদের দল সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে দেখেছেন যে, সূর্যের ক্রমবর্ধমান তাপ ধীরে ধীরে পৃথিবীকে বাসযোগ্য অবস্থান থেকে বের করে আনবে।
advertisement
এই তত্ত্ব প্রথম ২০২১ সালে কাজুমি ওজাকি এবং ক্রিস্টোফার টি. রেনহার্ড-এর একটি গবেষণায় "নেচার জিওসায়েন্স" জার্নালে প্রকাশিত হয়। তাঁদের মতে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ এমনভাবে কমে আসবে যে, প্রাণধারণের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস আর অবশিষ্ট থাকবে না। ফলে, পৃথিবীতে কোনও জীবিত প্রাণী বেঁচে থাকতে পারবে না।
advertisement
গবেষকরা জানান, বর্তমানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন প্রচুর থাকলেও, সেটি চিরকাল থাকবে না। তাঁরা একটি সিমুলেশনের মাধ্যমে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলের একটি টাইমস্কেল হিসেব করেন। গবেষণায় নাসা এবং জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরাও যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মতে, এমন পরিস্থিতি খুব ধীরে ধীরে আসবে, কিন্তু একবার শুরু হলে তা আর ঠেকানো যাবে না।
advertisement
অন্যদিকে, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা আরও একটি সিমুলেশন চালান। তাঁরা জানান, ভবিষ্যতে পৃথিবীর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে, সমস্ত মহাদেশ আবার একত্রিত হয়ে ‘প্যানজিয়া আল্টিমা’ নামে একটি নতুন সুপারকন্টিনেন্ট গঠন করবে। তখন পৃথিবী হবে অতি উত্তপ্ত ও শুষ্ক, এবং ঘন ঘন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটবে।
advertisement
advertisement