জানা গিয়েছে, মইনপুরির করহাল শহরের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল বসরেহার গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে। শনিবার করহালের একটি গেস্ট হাউসে দুই পক্ষই বিয়ের জন্য জড়ো হয়। সেজেগুজে বিবাহ বাসরে আসেন কনে। মালাবদল হয়। এই সময়ই বর-কনের মধ্যে কোনও বিষয়ে ঝগড়া বাঁধে। রাগ করে বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে ঘরে চলে যান কনে। মান ভাঙাতে সেখানে হাজির হন বর। কিন্তু ঘটে উল্টো। রাগ তো ভাঙেই না, উল্টে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। আচমকাই বর মেজাজ হারিয়ে কনেকে চড় মেরে বসেন।
advertisement
বিয়ে করতে এসে কনেকে চড়! ব্যস। এতে ব্যাপক ক্ষেপে যান নববধূ। তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। সাফ জানিয়ে দেন, এই ছেলেকে তিনি আর বিয়ে করবেন না। এমনকী থানায় খবর দেওয়া হয়। নালিশ করা হয় বরের নামে। শেষে পুলিশ এসে দু’পক্ষকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফের বিয়েতে রাজি করায়। করহাল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ললিত ভাটি বলেন, “বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন বর-কনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর-কনে”।
আরও পড়ুন- ইউপিএসসি টপার থেকে অনলাইন অনুপ্রেরণা, আইএএস সৃষ্টি দেশমুখের রেজাল্টই তাঁর হয়ে কথা বলে
বিয়ের পরদিন সাত পাক: উভয় পক্ষই মিটমাট করে নিলে কনেও পুলিশের কাছে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। পরদিন বরের বাড়িতে সাত পাকে ঘোরেন বর-কনে। নববধূ বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছিল। এখন সব ঠিক আছে’। বরের মা বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে একটা অশান্তি হয়েছিল। এখন সব মিটে গিয়েছে। বউমাকে পেয়ে আমি খুব খুশি। বিয়েতে এমনটা হয়েই থাকে’।