তাইনা নিজের পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন যে, “আমরা আমাদের বহুসংস্কৃতিক প্রেমের গল্প ভাগ করে নিই, ট্যাবু ভাঙি এবং বর্ণবাদ সম্পর্কে খোলা মনের মানুষদের জন্য কথা বলি। আমরা এমন একটি ভালবাসা উদযাপন করি, যা বিভিন্ন সংস্কৃতি অতিক্রম করে। তার পাশাপাশি নানা রকম স্টিরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করে এবং অন্যদের বৈচিত্র্যকে সাদরে আলিঙ্গন করতেও অনুপ্রাণিত করে।”
advertisement
স্যুটকেস ভর্তি পুতিনের মলমূত্র! ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের দিনেও সঙ্গে আনেন রক্ষীরা! কেন জানেন?
সেই পোস্টে তাইনা বলেছেন যে, কোভিড ১৯ অতিমারীর সময়ে ২০২০ সালে প্রথমবারের জন্য অনলাইনে আলাপ হয়েছিল তাঁদের। আর প্রেমের টানে ব্রাজিলে পাড়ি দিয়েছিলেন তাইনার বর্তমান স্বামী। তখনই প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। যদিও কোভিড অতিমারীর ভ্যাকসিন তখনও আসেনি।
তাইনা আরও লিখেছেন যে, “আমরা প্রেমে পড়েছিলাম। আর সাক্ষাতের ৫ মাস পরেই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম।” আর সেই বিয়ের আসরটা বসেছিল ব্রাজিলেই। তবে তাইনার ভারতীয় স্বামীর পরিবার এই সম্পর্ককে গোড়া থেকেই মেনে নিয়েছিল। আর নবদম্পতির পাশে থেকে প্রচুর আশীর্বাদও দিয়েছিল।
তাইনা লিখেছেন, “আমাদের ভিন্ন সংস্কৃতি। কিন্তু আমাদের মূল্যবোধ একই। আমাদের ভালবাসা আর শ্রদ্ধা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আমাদের দু’টি আত্মাকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য আমি ব্রহ্মাণ্ডের কাছে কৃতজ্ঞ।” সেই পোস্টে হাজার হাজার লাইক পড়েছে, সঙ্গে এসেছে শয়ে শয়ে কমেন্টও। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও আনন্দিত এই পোস্টকে ঘিরে। এমনকী তাঁদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, “ভালবাসা ভালবাসাই হয়, সে যত দূরত্বই থাকুক না কেন! আপনাদের দু’জনকেই অভিনন্দন।” অন্য একজন নেটাগরিক আবার লিখেছেন, “সত্যিকারের ইতিবাচক পোস্ট। ছবিতে থাকা সকলেই অত্যন্ত সুন্দর। সত্যিই কী সুন্দর! ভারত থেকে রইল অনেক অনেক আশীর্বাদ।”
এখানেই শেষ নয়, তৃতীয় এক নেটাগরিক বলেছেন যে, “কী উষ্ণ প্রেমকাহিনি! আমি আশা করি যে, ওঁদের ভালবাসা বছরে বছরে আরও বাড়বে। আপনাদের দু’জনকে ভালবাসা, হাসি-আনন্দ এবং সুস্বাস্থ্যে ভরা দীর্ঘ জীবনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।” চতুর্থ নেটিজেন আবার লিখেছেন যে, “অভিনন্দন, বিয়ের দিনে আপনাকে সত্যিই সুন্দর দেখাচ্ছিল।”