কেউ নিজে কী চাইছেন?
প্রথমত কাউকে বিশ্লেষণ করতে হবে, তিনি তাঁর সম্পর্ক এবং সঙ্গীর মধ্যে কী কী গুণ চাইছেন। সবার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, আমরা কোনটা চাইছি। তবে কীভাবে মনের মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে গবেষণা করতে সময় নষ্ট করলে চলবে না। শুধুমাত্র সঙ্গীর মধ্যে কী কী গুণ চাওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ের উপরেই মনোনিবেশ করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন-চেনা কেউ আছেন না নিজেরই নামের শুরু 'K' দিয়ে? এমন ব্যক্তিরা ঠিক কেমন চরিত্রের হন?
মনে মনে ভাবতে হবে এবং কল্পনায় তা দেখতে হবে:
কেউ হয় তো সঠিক ভাবে জানেন যে, তিনি কী চাইছেন। সেক্ষেত্রে নিজের চাহিদার বিষয়ে ভাবনায় মনোনিবেশ করতে হবে। ভবিষ্যতে মনের মানুষের সঙ্গে আলাপ করার জন্য মনে মনে উচ্ছ্বসিত হতে হবে। যখন সঙ্গীর সঙ্গে দেখা হবে, সেই সময় কী কী করবেন, সেই জিনিসগুলো মনে মনে কল্পনা করতে হবে।
আরও পড়ুন- 'C' দিয়ে নামের শুরু? কী বলছে এমন মানুষদের নিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র?
মনের মানুষকে খুঁজে পাওয়ার ভান করতে হবে:
এমন দেখাতে হবে যেন, কেউ যেন নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে গিয়েছেন। এবার নিজের করা ম্যানিফেস্টে সেই মনের মানুষটার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন কীরকম আচরণ করবেন তিনি, সেই বিষয়ে কল্পনা করতে হবে। এর পাশাপাশি, নিজের যত্ন নেওয়াও বাঞ্ছনীয়।
পদক্ষেপ করার পালা:
সম্পর্কে থাকাকালীন ব্যক্তি নিজে এবং সঙ্গী কেমন আচরণ করতে পারেন, সেই বিষয়ে ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে হবে। এর পর মনের মানুষের মধ্যে আমরা যে-সব গুণ চাইছি, সেই গুণগুলি সম্ভাব্য সঙ্গীর মধ্যে আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। এমন কোনও মানুষের পিছনে দৌড়নো উচিত নয়, যাঁদের স্বভাব-আচরণ আমাদের পছন্দের তালিকায় পড়ছে না।
গভীর সম্পর্কে ঢুকতে হবে:
কারও সঙ্গে নিজের পছন্দগুলো মিলে গেলে বা মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে গেলে গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। আবার এ-ক্ষেত্রে কখনও হয় তো মনে হতে পারে যে, সঙ্গীর মধ্যে যা-যা চাওয়া হয়েছিল, সেই মানুষটার মধ্যে সেগুলো নেই কিংবা সেই মানুষটা একটু আলাদা। কিন্তু এ-সব ক্ষেত্রে নিজেকে নমনীয় রাখতে হবে। এতেই নিজের জীবনের খাঁটি ভালোবাসার মানুষটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে।