আরও পড়ুন : জানেন কি ! পুজোয় শুধুই এই বেলপাতা প্রয়োজন হয় . . .তবে কেন ?
ভগবান বিষ্ণু এই অবতারে মু্ক্তি দিয়েছিলেন হিরণ্যকোশিকে ৷ হিরণ্যকোশির ছেলে পহ্লাদ প্রবল ধর্মপ্রাণ ছিলেন ৷ অন্যদিকে হিরণ্যকোশি ছিলেন অত্যচারী, প্রহ্লাদ তাঁর বাবার অত্যচারী মনোভাবকে কখনও সমর্থন করেননি ৷ এমন কী বাবাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানতেন না তিনি বা ঈশ্বর বলে মানতেন না ৷ তাঁর বাবা ছিলেন একজন অত্যচারী ৷ ছেলে তাঁকে ঈশ্বর না মানায় তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছিল হিরণ্যকোশি প্রাণে মারতে চেয়েছিল প্রহ্লাদকে ৷
advertisement
আরও পড়ুন : রাম নারায়ণ রাম, শ্রীশ্রী বালক ব্রহ্মচারীর এই মন্ত্রেই মিশে আছে জীবনের সব সুখ
এদিকে হিরণ্যকোশি মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে অমরত্ব লাভ করেছিল ৷ তবে কোনও ত্রিলোকে তাকে কেউ মারতে পারবে না ৷ অমরত্ব লাভ করে হিরণ্যকোশি তাণ্ডব শুরু করেছিল প্রবল অত্যচারে যখন সবাই অত্যাচারিত দেবাদিদেব বিষ্ণুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হিরণ্যকোশিকে বধ করার ৷ তবে হিরণ্যকোশিকে বধ করা সহজ ছিলনা ৷ তার কাছে বর ছিল ত্রিলোকে কেউই তাঁকে মারতে পারবে না ৷ সেই কারণে নৃসিংহদেবকে পাঠানো হিরণ্যকোশিকে বধ করে পৃথিবীকে তার অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে ৷
আরও পড়ুন : মা কালীর আরাধনা এই ফুল ছাড়া একদমই হয়না, জেনে নিন আপনিও . . .
হিরণ্যকোশিকে বধ করা সহজসাধ্য ব্যাপার ছিলনা ৷ হিরণ্যকোশির রক্ত যদি মাটিতে পড়লে সেখান থেকে হাজার হাজার হিরণ্যকোশির জন্ম নেবে ৷ তাই বিষ্ণুর নৃসিংহদেব অবতারে বধ করেন হিরণ্যকোশিকে ৷ নখ দিযে বুর চিড়ে দিয়েছিলেন হিরণ্যকোশির ক অন্যরকম ভঙ্গিতে যাতে তার এক ফোঁটাও রক্ত না পড়ে মাটিতে ৷ তাই এই ভাবেই বধ করা হয়েছিল অত্যচারীকে ৷
আরও পড়ুন : শনিবার এই নিয়ম মেনে চলুন, শনিদেবের রোষের মুখে পড়তে হবেনা . . .
এছাড়াও নৃসিংহদেবের এই মূর্তি বাড়িতে থাকলে রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে ৷ বিশেষত যাঁরা একা থাকেন তাঁদের কাছে এই মূর্তি বা ছবি থাকে তিনি বিশেষ সুরক্ষিত থাকেন ৷ মনের জোর হয়ে যায় দ্বিগুণ ৷