জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত ওই কনস্টেবলের নাম এমকে মীনা। নয়াদিল্লি জিআরপি-তে রয়েছেন তিনি। সেকেন্ড এসি-তে নিজের স্ত্রীর যাতায়াতের বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি নিজেই। কনস্টেবলের টিকিট ছিল, কিন্তু স্ত্রী বিনা টিকিটেই ওই কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। এরপর টিকিট পরীক্ষক এসে টিকিট চাইতেই শুরু হয় ঝামেলা। নিজের উর্দির পরিচয় দিয়ে টিকিট পরীক্ষককে রীতিমতো শাসাতে শুরু করেন ওই কনস্টেবল। এদিকে ট্রেনের ভিতরে টিকিট পরীক্ষক এবং কনস্টেবলের ঝামেলায় কামরার পরিস্থিতিও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
advertisement
এটা বলা হচ্ছে যে, এটি গত ১০ মার্চের ঘটনা। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০৪৫২ নয়াদিল্লি-সোগারিয়া ট্রেনে। টিটিই যখন ওই কনস্টেবলের স্ত্রীর টিকিট চান, তখন কনস্টেবল টিটিই-র সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। কামরা ভর্তি যাত্রীর সামনেই নিজের উর্দি দেখিয়ে ক্ষমতার আস্ফালন করতে শুরু করেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। এরপরেই প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে সমস্ত তথ্য দেন টিকিট পরীক্ষক। অবশেষে কনস্টেবলের স্ত্রীর নামে চালান কেটে তাঁকে স্লিপারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে ট্রেনের কর্মীরা। কোটা রেলওয়ে ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম সৌরভ জৈন বলেন যে, বিষয়টি তদন্ত করার পরে সমস্ত নিয়ম মেনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। টিকিট পরীক্ষক রাকেশ কুমার ওই মহিলার নামে ৫৩০ টাকার একটি চালান কেটেছেন। এখানেই শেষ নয়, ওই টিকিট পরীক্ষক ঘটনার ভিডিও বানানোর চেষ্টা করলে কনস্টেবল তাঁকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে প্রমাণ পাওয়া গেলেই অবিলম্বে ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই মতো প্রস্তুতিও চলছে।