আলু আর সর্ষে চাষ করার পর কি জমি খালি পড়ে রয়েছে? তাহলে এই ফসলটি চাষ করে দেখুন, মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই হবে লক্ষ্মীলাভ

Last Updated:
Coriander Farming Tips: নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে নিযুক্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এনসি ত্রিপাঠী Local18-এর কাছে বলেন যে, মার্চ এবং এপ্রিল মাসটা ধনেপাতা চাষের জন্য আদর্শ। মার্চ মাসে ক্ষেতের আগাছা নষ্ট করে জমি ভাল করে চষে নিতে হবে। এরপরে জমির মাটির সঙ্গে পচা গোবর সার যোগ করতে হবে। এবার ভাল করে সেচ দিতে হবে।
1/6
শীতের মরশুমে আলু আর সর্ষের চাষ করার পর মার্চ মাসটা খালিই পড়ে থাকে ক্ষেত। প্রায় সব জায়গায় এই দৃশ্য দেখা যায়। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। যাইহোক, মার্চ মাসে যখন ক্ষেত ফাঁকা পড়ে থাকে, তখন কৃষকরা যদি ধনে পাতার চাষ করেন, তাহলে কম খরচে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করতে পারবেন তাঁরা। আসলে গরমের দিনে ভাল ধনেপাতা বাজারে সেভাবে দেখা যায় না। কিন্তু এর চাহিদাও থাকে বেশ ভালই। এমতাবস্থায় কৃষকরা যদি ফাঁকা ক্ষেতে ধনেপাতার চাষ করেন, তাহলে আসন্ন সময়ে ভাল মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
শীতের মরশুমে আলু আর সর্ষের চাষ করার পর মার্চ মাসটা খালিই পড়ে থাকে ক্ষেত। প্রায় সব জায়গায় এই দৃশ্য দেখা যায়। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। যাইহোক, মার্চ মাসে যখন ক্ষেত ফাঁকা পড়ে থাকে, তখন কৃষকরা যদি ধনে পাতার চাষ করেন, তাহলে কম খরচে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করতে পারবেন তাঁরা। আসলে গরমের দিনে ভাল ধনেপাতা বাজারে সেভাবে দেখা যায় না। কিন্তু এর চাহিদাও থাকে বেশ ভালই। এমতাবস্থায় কৃষকরা যদি ফাঁকা ক্ষেতে ধনেপাতার চাষ করেন, তাহলে আসন্ন সময়ে ভাল মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
advertisement
2/6
নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে নিযুক্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এনসি ত্রিপাঠী Local18-এর কাছে বলেন যে, মার্চ এবং এপ্রিল মাসটা ধনেপাতা চাষের জন্য আদর্শ। মার্চ মাসে ক্ষেতের আগাছা নষ্ট করে জমি ভাল করে চষে নিতে হবে। এরপরে জমির মাটির সঙ্গে পচা গোবর সার যোগ করতে হবে। এবার ভাল করে সেচ দিতে হবে। পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকাকালীন আরও একবার জমি চষে নিতে হবে।
নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে নিযুক্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এনসি ত্রিপাঠী Local18-এর কাছে বলেন যে, মার্চ এবং এপ্রিল মাসটা ধনেপাতা চাষের জন্য আদর্শ। মার্চ মাসে ক্ষেতের আগাছা নষ্ট করে জমি ভাল করে চষে নিতে হবে। এরপরে জমির মাটির সঙ্গে পচা গোবর সার যোগ করতে হবে। এবার ভাল করে সেচ দিতে হবে। পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকাকালীন আরও একবার জমি চষে নিতে হবে।
advertisement
3/6
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার জমি চষে নেওয়ার পর ডিএপি এবং পটাশ মেশাতে হবে এবং একটি রোটাভেটরের মাধ্যমে জমি চষে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপরে একটি পাট্টা ব্যবহার করে ক্ষেতের মাটি সমান করে নিতে হবে। এবার ছোট ছোট বেড বানিয়ে ধনে বীজ বুনে নিতে পারেন কৃষকরা। এভাবে জমির মাটি উর্বর হয় আর ফসলও ভাল পুষ্টি পায়।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার জমি চষে নেওয়ার পর ডিএপি এবং পটাশ মেশাতে হবে এবং একটি রোটাভেটরের মাধ্যমে জমি চষে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপরে একটি পাট্টা ব্যবহার করে ক্ষেতের মাটি সমান করে নিতে হবে। এবার ছোট ছোট বেড বানিয়ে ধনে বীজ বুনে নিতে পারেন কৃষকরা। এভাবে জমির মাটি উর্বর হয় আর ফসলও ভাল পুষ্টি পায়।
advertisement
4/6
কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এনসি ত্রিপাঠী আরও বলেন যে, চাষের জন্য ধনেপাতার সবথেকে সেরা প্রজাতি হল হিসার সুগন্ধ। এই প্রজাতির ধনেপাতার ফলন ভাল। এর অঙ্কুরোদ্গম ভাল এবং দ্রুত হয়। ক্ষেতে ধনেপাতা চাষের আগে এর বীজ চটের বস্তায় ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে তা ক্ষেতে রোপণ করা উচিত।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এনসি ত্রিপাঠী আরও বলেন যে, চাষের জন্য ধনেপাতার সবথেকে সেরা প্রজাতি হল হিসার সুগন্ধ। এই প্রজাতির ধনেপাতার ফলন ভাল। এর অঙ্কুরোদ্গম ভাল এবং দ্রুত হয়। ক্ষেতে ধনেপাতা চাষের আগে এর বীজ চটের বস্তায় ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে তা ক্ষেতে রোপণ করা উচিত।
advertisement
5/6
আসলে তিন-থেকে চার দিনের মধ্যে অঙ্কুরোদ্গম শুরু হয়ে যায়। আর ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে ধনেপাতার ফসল তোলার জন্য প্রস্তুত থাকে। আর বাজারে বিক্রি করে ভালই দাম মেলে। ধনেপাতার চাহিদা সারা বছরই থাকে। কিন্তু গরমে এর ফলন কম হয় বলে প্রচুর দামে তা বিক্রি হয়।
আসলে তিন-থেকে চার দিনের মধ্যে অঙ্কুরোদ্গম শুরু হয়ে যায়। আর ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে ধনেপাতার ফসল তোলার জন্য প্রস্তুত থাকে। আর বাজারে বিক্রি করে ভালই দাম মেলে। ধনেপাতার চাহিদা সারা বছরই থাকে। কিন্তু গরমে এর ফলন কম হয় বলে প্রচুর দামে তা বিক্রি হয়।
advertisement
6/6
আর সঠিক ভাবে ধনেপাতা চাষ করা হলে এক হেক্টর জমিতে ১০ ক্যুইন্টাল ধনেপাতা ফলে। ভাল ফসল থেকে ভাল কাটিংও পাওয়া যায়। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মুনাফা লাভ করতে পারেন কৃষকরা। গরমের মরশুমে বাজারে ধনেপাতা বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। তাই বলা হয়, গরমে ধনেপাতার চাষ করলে অর্থের বর্ষণ হবে। আর কম সময়েই লাভ করতে পারেন কৃষকরা।
আর সঠিক ভাবে ধনেপাতা চাষ করা হলে এক হেক্টর জমিতে ১০ ক্যুইন্টাল ধনেপাতা ফলে। ভাল ফসল থেকে ভাল কাটিংও পাওয়া যায়। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মুনাফা লাভ করতে পারেন কৃষকরা। গরমের মরশুমে বাজারে ধনেপাতা বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। তাই বলা হয়, গরমে ধনেপাতার চাষ করলে অর্থের বর্ষণ হবে। আর কম সময়েই লাভ করতে পারেন কৃষকরা।
advertisement
advertisement
advertisement