এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করলেন রাঁচি রেলওয়ে ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন যে, ট্রেন যখন স্টেশন থেকে রওনা হয়, তখনই লোকো পাইলট আগে থেকে শৌচকর্ম সেরে নেন। যার ফলে ২-৩ ঘণ্টার জন্য আর তাঁদের শৌচাগার ব্যবহার করতে হয় না। আগে থেকেই লোকো পাইলটদের কাছে এই নির্দেশ চলে যায়। যার ফলে ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয় না।
advertisement
ডিসিএম নিশান্ত কুমার আরও বলেন যে, অনেক সময় লোকো পাইলটরা স্টেশনেই শৌচকর্ম সেরে নেন। কিন্তু ট্রেন চালানোর সময়ও তো শৌচাগার ব্যবহার করার অবস্থা তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টা কন্ট্রোল রুমে জানাতে হয়। আর সেখান থেকেই পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামানোর অনুমতি আসে। এরপরে সেখানে নেমেই শৌচাগার ব্যবহার করেন লোকো পাইলট। তবে নিশান্ত কুমার এ-ও জানালেন যে, এমন পরিস্থিতি সচরাচর আসে না। আর এমনিতে তো সকলেই জানেন যে, ১-২ ঘণ্টায় এক-একটা স্টেশন আসে। ফলে লোকো পাইলটরা নেমে শৌচাগার ব্যবহার সেরে নেন। তবে ব্যতিক্রমও আছে। কারণ গরিব রথ কিংবা রাজধানীর মতো ট্রেনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে চলাচল করে।
আর দীর্ঘ পথ অতিক্রমকারী ট্রেনগুলি সত্যিই সমস্যা তৈরি করে। ডিসিএম নিশান্ত কুমারের ব্যাখ্যা, বেশ কিছু ট্রেন আছে, যা রাতভর দৌড়য়। যেমন – রাজধানী, গরিব রথ অথবা দুরন্ত। এইসব ট্রেনের ক্ষেত্রে লোকো পাইলটরা কন্ট্রোল রুমে খবর পাঠান। এরপর কয়েক সেকেন্ডের জন্য ট্র্যাকে দাঁড় করিয়ে শৌচকর্ম সেরে নেন। যদিও কন্ট্রোল রুম থেকে অনুমতি না আসা পর্যন্ত ট্রেন থামানো যায় না। গ্রিন সিগন্যাল পেলে তবেই ট্রেন দাঁড় করান তাঁরা।