Actress: একের পর এক ফ্লপের সাক্ষী; প্রভাস অভিনীত ছবি থেকেই রাতারাতি তারকা, এই অভিনেত্রীর সাফল্যের কাহিনি তাক লাগানোর মতো
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Actress: ধীরে ধীরে নিজ গুণে ভক্তদের মনে বিশেষ স্থান তৈরি করতে পেরেছেন। এক্ষেত্রে সবথেকে বড় উদাহরণ হলেন ৫২ বছর বয়সী অভিনেত্রী রম্যা কৃষ্ণণ।
যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া অতটাও সহজ নয়। আর যাঁরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছছেন, তাঁরা একবার হলেও ব্যর্থতার স্বাদ পেয়েছেন। আর এই বিষয়টা আরও বেশি করে চোখে পড়বে রুপোলি দুনিয়ায়। আসলে খ্যাতি-পরিচিতি অথবা ভাল সুযোগ পাওয়া তারকাদের জন্য একেবারেই সহজ নয়। জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য তাঁদের রীতিমতো কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়।
advertisement
advertisement
এখনও পর্যন্ত প্রচুর সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। আবার একটা সময় তাঁর ঝুলিতে এসেছে কেবল ফ্লপ ছবিই। কিন্তু ‘বাহুবলী’ ছবিই যেন ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে তাঁর। ফলে আজ আর রম্যার খ্যাতির অভাব নেই। তিনি আজ ভারতীয় সিনে দুনিয়ার অন্যতম দক্ষ এবং সেরা অভিনেত্রী। আজ তাঁর সাফল্যের গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
‘জেলার’ অভিনেত্রী রম্যা এক সময় হিন্দি ছবিতে তেমন স্বীকৃতি পাননি। এমনকী রম্যা অভিনীত তামিল ছবিও তেমন সফল হয়নি। একটা সময় ছিল যখন রম্যার নামের আগে ফ্লপ-অভিনেত্রীর তকমা লেগে গিয়েছিল। সম্প্রতি জেলার ছবিতে রজনীকান্তের বিপরীতে অভিনয় করেছেন রম্যা। তাঁর হাতে এখন বড় বড় প্রজেক্ট। ফলে বর্তমানে ব্যস্ততম দক্ষিণী অভিনেত্রী হলেন তিনি।
advertisement
১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই)-এ জন্ম অভিনেত্রীর। আবার তামিল অভিনেতা, কমেডিয়ান, সংসদের প্রাক্তন সদস্য এবং রাজ্যসভার সদস্য চো রামাস্বামীর ভাইঝি রম্যা। মালয়ালম ছবি ‘নেরাম পুলারামবোল’-এর হাত ধরে রুপোলি জগতে পদার্পণ করেছিলেন তিনি। এটাই তাঁর প্রথম ছবি হলেও তা ১৯৮৬ সালের শেষের দিকে মুক্তি পেয়েছিল।
advertisement
এর আগে ১৯৮৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল রম্যা অভিনীত ‘ভেল্লাই মানাসু’। ওই তামিল ছবিতে ওয়াইজি মহেন্দ্রর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রম্যা জানিয়েছেন, তাঁর তামিল ও তেলুগু ছবি ধারাবাহিক ভাবে ফ্লপ হওয়ায় তাঁর মনে হতে থাকে যে, তিনি একেবারেই ভাল অভিনেত্রী নন। রম্যার কথায়, “ফ্লপ ছবির কারণে আমার মা-ও বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন। একবার তো আমার মুভি দেখে তিনি জানতে চান যে, ‘কীভাবে তুমি বেঁচে আছো’। আমার মা-ই হলেন আমার সবথেকে বড় সমালোচক।”
advertisement
একের পর এক ফ্লপের পরে অবশ্য ১৯৮৯ সালে কে বিশ্বনাথ পরিচালিত ‘সূত্রধরুলু’ ছবির মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী’ ছবিতে রাজমাতা শিবগামী দেবীর চরিত্রে রম্যার বলিষ্ঠ অভিনয় তাঁকে খ্যাতির চূড়ায় নিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁর হাতে রয়েছে প্রচুর কাজ। রুপোলি জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী এক-একটি ছবির জন্য ৩-৪ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯৮ কোটি টাকা।