অমর নাথ বাবুর ছেলে কৌশিক ঘোষ জানান ‘দু এক বছর পুজোর পর আবার তিনি শোলার প্রতিমা পাঠান জার্মানিতে। তবে এবার আর সাদা নয় রঙিন। কিন্তু শোলার উপরে থাকে না রং। সেটা ধূসর হয়ে যায়। তাই শিল্পীর ভাবনায় নতুন করে তিনি রং, মাটি,কাপড় মিশিয়ে রঙিন সাজ বানিয়ে শোলার উপরে বসিয়ে দেন। সেই রঙিন প্রতিমা এরপর থেকে বহু বছর পুজো হয় জার্মানিতে।‘
advertisement
আরও পড়ুন: বেশিক্ষণ জল ঘাঁটলে কুঁচকে যাচ্ছে তো হাত বা পায়ের পাতার চামড়া? না কুঁচকালেই বড় বিপদ!
শুরু করেছিলেন বাবা! এরপর নতুন প্রজন্ম ছেলের হাত ধরে শুরু হয় বিদেশের মাটিতে বাংলার প্রতিমা যাওয়া। কৌশিক ঘোষের রয়েছে বিদেশে প্রতিমা পাঠানোর লাইসেন্সও। সরকারি নিয়ম কানুন মেনেই চলছে তাঁর এই মৃৎশিল্পের ব্যবসা। করোনাকালে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও এ বছর তাঁর ব্যবসা ভালই হয়েছে বলে জানান কৌশিক ঘোষ। এ বছর তাঁর হাতের তৈরি ৩৬ টা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। কৌশিক বাবু জানান’ এখন আর তাঁকে বিদেশে প্রতিমা পাঠাতে নতুন করে প্রচার করতে হয় না বা তাঁর কোনও ওয়েবসাইটও নেই। প্রবাসীদের মুখে মুখেই প্রচার পেয়েছে তাঁর শিল্পকলা। ফোনেই তিনি পেয়ে যান এক বছর আগে থেকেই প্রতিমার অর্ডার। সেভাবেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা তৈরির কাজও।
আরও পড়ুন:
আধুনিকতার দৌলতে এখন বদলেছে অনেক কিছুই। বদলেছে প্রতিমার সাজ বদলেছে তার তৈরির উপকরণ। এখন মূলত ফাইবারের মূর্তিই বিদেশে বা ভিন রাজ্যে পাঠান হয়। সহজে ভাঙে না এই মূর্তি আর তার রঙ বা চাকচিক্যও টেকে অনেকদিন। তবে এ বছর থেকে বিদেশের মাটিতেও শুরু হয়ে গেছে থিমের দুর্গা পুজো। তাই কলকাতার পাশাপাশি প্রবাসীরাও মেতে উঠবেন থিমের পুজোয়। নানা থিমের দুর্গা এবার পাড়ি দিচ্ছে মার্কিন মুলুকে বা ব্রিটেনে।
পূর্ণেন্দু মণ্ডল