আরও পড়ুন– শাশুড়িকে খুন, খুব খুশি বউমা ! পুলিশ এসে ধরতেই সামনে এল আসল ঘটনা, আতঙ্কে পরিবারের সদস্যরা
কীভাবে এই তথ্য প্রকাশ্যে এল, সেই কথা জেনে অনেকেই বেশ মজা পাবেন। কাকের প্রতিশোধস্পৃহা সংক্রান্ত একটি গবেষণা আসলে চলেছিল ওয়াশিংটন ইউিভার্সিটিতে। অধ্যাপক জন মার্জলফ ছিলেন এর মুখ্য হোতা, তিনিই অন্য পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করেন। বেশি কিছু তাঁরা করেননি। তাঁরা কেবল ভয়ঙ্কর দেখতে মুখোশ পরে নিয়ে ৭টা কাক ধরেছিলেন। মুখোশ পরার কারণ এই যাতে কাক আসল চেহারা চিনে না ফেলে। এর পর তাঁরা ওই ৭টা কাককে ছেড়েও দেন। শুধু পায়ে একটা করে আংটা পরিয়ে দেন যাতে পরে তাদের সনাক্ত করতে অসুবিধা না হয়।
advertisement
অধ্যাপক জন মার্জলফ জানিয়েছেন যে এই ঘটনার পরে যখনই তাঁরা ওই বিশেষ ভয়ঙ্কর মুখোশ পরে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বাগানের ভিতর দিয়ে হাঁটাচলা করতেন, দলে দলে কাক এসে তাঁদের ঠোকরানোর চেষ্টা করত। সব মিলিয়ে ৫৩টি কাকের দলের মুখে পড়েছিলেন তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা, যাদের মধ্যে ৪৭টি কাক তাঁদের ঠোকরাতে আসে বলে তিনি দাবি করেছেন। এও দাবি করেছেন যে অন্য মুখোশ পরে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বাগানের ভিতর দিয়ে হাঁটাচলা করলে কিন্তু কাকেরা কিছু করত না। যেমন, যখন ২০০৭ সালে গবেষণা শুরু হয়, তখন তাঁরা ডিক চেনির মুখোশ পরে দেখেছেন, কাকে কিচ্ছুটি করেনি!
১৭ বছর ধরে এই ঘটনা সমানে চলেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক জন মার্জলফ। এখানে একটি বিষয় রীতিমতো লক্ষ্য করার মতো। যে ৭টি কাককে তাঁরা ধরেছিলেন, তারা ওই ভয়ঙ্কর মুখোশ সংক্রান্ত বিপদের বার্তা গোষ্ঠীতেও ছড়িয়ে দিয়েছিল। যে কারণে সবাই মিলে প্রতিশোধ নিতে আসে! তবে কাকের এই গোষ্ঠীবদ্ধতার বিষয়টির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। প্রতিশোধস্পৃহার বিষয়ে এবার যা জানা গেল, চমকে উঠতে হয় বইকি!