সীতাদেবী যখন ঐতিহ্যবাহী ফসলের জমিতে বিদেশি ফল কিউই চাষ করতে শুরু করেছিলেন, তখন অনেকেই তাঁকে নিয়ে মস্করা করতে শুরু করেছিল। কিন্তু নিজের সাহস আর ইচ্ছে কোনওটাই হারাননি সীতাদেবী। সিদ্ধান্তে অটল থেকে খেতে কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন– এত সস্তা কী করে হয়? কী করে ব্যবসা করে DMart, জানেন কি?
advertisement
আজকাল সমতলের পাশাপাশি পাহাড়েও ডেঙ্গির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসায় কিউই বেশ উপকারী।
আসলে কিউইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যেকোনও ঋতুতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অন্যরকম সংক্রমণ ঘটলে ভিটামিন সি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে শরীরের পক্ষে। এই ফল শরীরে ভিটামিন সি-এর নিয়মিত চাহিদা পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং তার সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টিবডি কার্যকর হওয়া খুব জরুরি। ভিটামিন সি সেরোটোনিন উৎপাদনেও খুব সহায়ক। তাই কিউই খুব উপকারী। শুধু তাই নয়, এটি মেজাজ সতেজ রাখতেও ভাল কাজ করে।
আরও পড়ুন- এই আদিবাসী জনজাতি বড়ই অদ্ভুত; স্নানে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, আর যা যা হয়, শুনলে অবাক হবেন !
তাই ক্রমশ বাড়ছে এর চাহিদা। এক একটি ফলের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। তেহরি সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুভোকোটি গ্রামের বাসিন্দা সীতাদেবীর খেতে এক সময় প্রায়ই হামলা চালাতো বুনো শূকর, ভাল্লুক, বাঁদর। ব্যাপক ক্ষতি হতো ফসলের। ঐতিহ্যবাহী চাষে তেমন লাভও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ২০১৮ সালে বিকল্প চাষের কথা ভাবেন।
সেই সময়ই এলাকায় কিউই চাষের জন্য উদ্যান পালন বিভাগের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছিল। সীতাদেবী-সহ জেলার ৪৫ জন কৃষককে কিউই চাষের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ এবং চারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই উৎসাহ দেখাননি। হাল ছাড়েননি সীতাদেবী।
সীতাদেবী জানান, তাঁর স্বামী রাজেন্দ্র সিং এবং দুই সন্তান বিকাশ ও রাহুল প্রথম থেকেই তাঁকে এই কাজে সহায়তা করেছেন। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই এক বছরে বাগানে ফল ধরেছে। গ্রামের আরও দু’জন কিউই-র চারা লাগালেও সঠিক যত্নের অভাবে সেই চারা মরে যায়।