এই আদিবাসী জনজাতি বড়ই অদ্ভুত; স্নানে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, আর যা যা হয়, শুনলে অবাক হবেন !
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Himba Tribe Rituals: কথা হচ্ছে, হিম্বা উপজাতির। বর্তমানে এই উপজাতির আওতায় রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। কিন্তু আজও এই উপজাতির কিছু নিয়মকানুন আছে, যা জানলে অধিকাংশ মানুষই চমকে উঠবে। আসলে এই উপজাতির নিয়ম অনুযায়ী, স্নান করা এখানে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।
বিশ্ব আজ অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে। প্রযুক্তিও আধুনিক হয়েছে। কিন্তু এই অগ্রগতির পিছনে লুকিয়ে রয়েছে আরও অনেক মুখ। আসলে বিশ্ব জুড়ে এখনও এমন অনেক উপজাতি রয়েছে, যারা প্রস্তর যুগের মানুষদের মতোই জীবনযাপন করে। এই সব উপজাতির নিয়ম-কানুন এখনও পুরনো। উপজাতির মানুষদের এহেন অভ্যাস দেখে তাদের ‘পশু’-র সঙ্গেও তুলনা করে তথাকথিত আধুনিক সমাজের বহু মানুষ। কিন্তু বাস্তব হল, এই উপজাতিগুলো নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষা করে চলেছে। আজ আমরা একটি বিশেষ উপজাতি সম্পর্কে কথা বলতে চলেছি, যারা এখনও নিজেদের প্রাচীন নিয়মকানুন মেনে চলে। Image- Youtube (X)
advertisement
advertisement
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের উন্নয়নও আজ অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু এই অগ্রগতির আলো অবশ্য বিশ্বের আনাচেকানাচে পৌঁছতে পারেনি। কারণ এমন অনেক উপজাতি রয়েছে, যারা আজও আদিম মানুষের মতো জীবনযাপন করে। দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়ার হিম্বা উপজাতিও তার ব্যতিক্রম নয়। এই উপজাতিতে অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। যাঁরা স্নান করেন না কখনওই। বলা ভাল এই উপজাতির নিয়ম অনুযায়ী স্নান করা একেবারেই নিষিদ্ধ।
advertisement
advertisement
আসলে এই উপজাতির মানুষদের একান্ত নিজস্ব কিছু নিয়মকানুনও রয়েছে। এমনিতে সারা দিন খাবারের সন্ধানেই সময় কাটে তাদের। এছাড়া পাড়াপড়শি, বন্ধুবান্ধবের ঘর তৈরিতেও হাত লাগান এঁরা। কৃষিকাজও করেন। এই সমস্ত দিক থেকে অবশ্য তাঁদের জীবন অনেকটা আমাদের মতোই বলা যায়। তবে স্নান না করার যে প্রথা, তা তাঁদের অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। আসলে জল ব্যবহার করে স্নান না করলেও তাঁরা ধোঁয়া ব্যবহার করে স্নান করে থাকেন। একে ‘স্মোক বাথ’ বলে।
advertisement
শুধু তা-ই নয়, আরও এক আশ্চর্য প্রথা পালন করেন তাঁরা। বলা ভাল, তাঁদের অতিথি সৎকারের রীতি-নীতি একেবারে আলাদা। আসলে আমরা তো বাড়িতে আগত অতিথিদের চা-জলখাবার পরিবেশন করি। ঠিক তেমন ভাবেই তাঁরাও চা-জলখাবার পরিবেশন করেন। কিন্তু এখানেই রয়েছে একটা ছোট্ট ট্যুইস্ট! কারণ হিম্বা উপজাতির কোনও মানুষের বাড়িতে অতিথি এলে তাঁরা জল-খাবারের সঙ্গে বাড়ির মহিলাদেরও পরিবেশন করেন।
advertisement
আর এর জন্য বাড়িতে আলাদা ঘরও থাকে। বাড়ির পুরুষ-কর্তা নিজেই স্ত্রীকে অতিথির কাছে পাঠান। মূলত সম্পর্কে ঈর্ষার অনুভূতি দূর করার জন্যই এই প্রথার প্রচলন। আর এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হিম্বা উপজাতির সমাজ কট্টর ভাবে পুরুষতান্ত্রিক! যেখানে সব সিদ্ধান্ত বাড়ির পুরুষরাই নিয়ে থাকেন। আর মহিলাদের কোনও কিছু বলার অধিকারই থাকে না।