কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটল যে, এতটাই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল? নিউ আজাদ নগর আউটপোস্ট ইনচার্জ ধর্মা কুশওয়াহা বলেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে আচমকা খবর আসে যে, কোনও এক জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ৪০টি বিমানকে গুলি করে নামানোর হুমকি ফোন এসেছিল। এরপর ওই ফোন নম্বর ট্রেস করে দেখা যায়, ফোনটা এসেছে মহাদেবন মন্দিরের কাছ থেকে। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই অফিসার। সেখানেই একটি বাড়িতে নিজের পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকে ১৫ বছর বয়সী এক হাইস্কুলের ছাত্র। আদতে ওই পরিবারটি কুশীনগরের কাসমা থানা এলাকার বাকানহা গ্রামের বাসিন্দা।
advertisement
পুলিশি জেরায় ওই ছাত্র জানিয়েছে যে, সে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের খবর এবং ভিডিও দেখেছিল। এরপর গুগল করে ইন্ডিগো এয়ারলাইনের নম্বর নিয়ে বাবার ফোন থেকে ওই বিমান সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জানায় যে, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ৪০টি বিমান গুলি করে নামানো হবে। আর এর পরেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আপাতত মোবাইল-সহ ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আউটপোস্ট ইন-চার্জের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫০৬ ধারার অধীনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
আসলে ওই পড়ুয়ার উড়োফোনে নড়েচড়ে বসেছিল দিল্লি, কানপুর এবং লখনউ- এই তিন শহর। কুশওয়াহা বলেন যে, ইন্ডিগো দিল্লি পুলিশের কাছে ওই হুমকি-ফোনের কথা জানায়। এদিকে অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এমনিতেই কড়াকড়ি রয়েছে। ফলে হুমকি ফোনের পরেই প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে। দিল্লি আইবি-র তরফে এই ঘটনা জানানো হয়েছে উত্তর প্রদেশের ডিজিপি-কে। এরপর লখনউয়ের কমিশনারেট পুলিশ অফিসারের কাছে খবর যায় এবং সক্রিয় হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চ।