মালপত্র নিয়ে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাড়ি দেয় বড় বড় ট্রাক। সে সব নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় লাগে। রাতের বুক চিড়ে ট্রাক ছুটে চলে হাইওয়ে ধরে। চালকরাও পরিবার-পরিজন ছেড়ে ট্রাকেই বাসা বাঁধেন। গাড়ির ছোট্ট কেবিনই হয়ে ওঠে তাঁদের ঘরবাড়ি।
advertisement
এই ট্রাক চালকদেরই টার্গেট করে প্রতারকরা। মহিলার ছদ্মবেশে রাত্রিবেলা হাইওয়ের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে তারা। চোখেমুখে অসহায় ভাবভঙ্গী। লিফট চায়। এটাই ফাঁদ। কেউ গাড়ি থামিয়ে লিফট দিলেই সর্বনাশ। তার সর্বস্ব লুটে নেয় ছদ্মবেশী প্রতারকরা। এমন লুটের বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। এরপরই শুরু হয় অভিযান।
এদিন আজমেঢ়-দিল্লি হাইওয়েতে অভিযান চালিয়ে দুই ছদ্মবেশি যুবককে গ্রেফতার করেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) অমিত কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা বিহারের গিরিধারীপুরার বাসিন্দা। রাত্রিবেলা মেয়ে সেজে হাইওয়েতে ঘুরে বেড়াত। তারপর লিফট চেয়ে লোকজনকে লুট করত।
আরও পড়ুন– স্লিপার ক্লাসের টিকিট কেটে এসিতে! কারণ শুনে চমকে গেলেন TTE, পাশে দাঁড়ালেন অন্য যাত্রীরাও
রাতেই চলত লুটপাঠ: পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই যুবক শুধু রাতেই বের হত। একা একা হাইওয়েতে দুই মেয়েকে ঘুরতে দেখে অনেক ট্রাক চালকই তাঁদের লিফট দিতেন। এরপরই শুরু হত আসল খেলা। ট্রাকে উঠেই তারা চালককে বদনাম করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত। চলত সর্বস্ব লুট। গ্রেফতারির সময় দুই ছদ্মবেশি প্রতারকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, এক ট্রাক চালকের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছিল তারা।
চালকদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে পুলিশ: দুই যুবককে গ্রেফতারের পরই বিষয়টা নিয়ে প্রচার শুরু করেছে পুলিশ। রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় সাধারণ গাড়ি এবং ট্রাক চালকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গ্যাংয়ের আরও সদস্য থাকতে পারে। তাই রাত্রিবেলা হাইওয়েতে অচেনা-অজানা মেয়েদের বা মহিলাদের লিফট দেওয়ার জন্য গাড়ি থামাবেন না। এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। খোয়া যেতে পারে সর্বস্ব।