যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ওই মহিলা, পেম ওয়াং থংদক, একাধিক পোস্টে জানিয়েছেন যে ২১ নভেম্বর ২০২৫-এ লন্ডন থেকে জাপান যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি লেখেন, “২১ নভেম্বর আমাকে সাংহাই বিমানবন্দরে ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়। চায়না ইমিগ্রেশন এবং চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস পাসপোর্টকে অবৈধ বলে দাবি করে।” থংদকের অভিযোগ— তাঁকে জানানো হয়, তাঁর জন্মস্থান অরুণাচল প্রদেশ “চিনের ভূখণ্ড”, তাই নাকি তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট কার্যকরী নয়!
advertisement
তিনি আরও লেখেন, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তাঁর পরিচয়কে প্রশ্ন করা হয়েছে শুধুমাত্র তাঁর জন্মস্থানের ভিত্তিতে। ঘটনাটি নজরে আনতে তিনি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ট্যাগ করেন।
নতুন শ্রম আইনে মহিলাদের কী কী লাভ হল অনেকেই জানেন না! নারীদের নতুন সুবিধাগুলো দেখে নিন
আধুনিক, সুরক্ষিত এলএইচবি কোচ পাচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের ১০ জোড়া ট্রেন! কলকাতা থেকে কোনগুলো জানুন
মহিলার দাবি, ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি নিরাপত্তা চেকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক তখনই এক কর্মী এসে চিৎকার করে তাঁর নাম বলে “ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া” বলে তাঁকে আলাদা করে ডাকে।
তিনি জানান, “তিনি আমাকে ইমিগ্রেশন ডেস্কে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বলেন— ‘Arunachal, not a valid passport’।”
থংদকের আরও দাবি, বিমানবন্দরের কর্মীরা তাঁকে বলেন— “অরুণাচল চিনের অংশ। আপনার পাসপোর্ট অবৈধ।”
এরপর তাঁর অভিযোগ— তাঁকে জাপানগামী ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি এবং ট্রানজিট এলাকাতেই আটকে রাখা হয়। তাঁকে চাপ দেওয়া হয় যেন নতুন টিকিট কেনা হয়, তা-ও শুধুমাত্র চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস থেকেই। ইঙ্গিত দেওয়া হয়, নতুন টিকিট না নিলে তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে না।
বন্ধুর মাধ্যমে তিনি সাংহাইয়ে ভারতীয় কনসুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ভারতীয় আধিকারিকরা তাঁকে বেশি রাতের একটি ফ্লাইটে শহর ছাড়ার ব্যবস্থা করেন।
অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ— কেন্দ্র বারবার এ কথা স্পষ্ট করেছে। কিন্তু চিন অরুণাচলকে “দক্ষিণ তিব্বত” বলে দাবি করে এবং নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে। এই ভূ-রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই ফের উঠে এল নতুন অভিযোগ।
