এই আশ্রমে ৪৬০০ জনেরও বেশি আবাসিক একসঙ্গে বসবাস করেন। ফলে তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও তো জোরদার হতে হবে। সেই কারণেই অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষের খাবার বানাতেই তৈরি হয়েছে দেশের সবথেকে বড় রান্নাঘর। এখানে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও। যার মধ্যে অন্যতম হল চাপাটি তৈরির যন্ত্র, সবজির খোসা ছাড়ানো এবং সবজি কাটার যন্ত্র ইত্যাদি। ৮ ঘণ্টায় মোট চার বার এত সংখ্যক মানুষের জন্য এই রান্নাঘরে খাবার রান্না হয়। ৩১ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এই রান্নাঘরটি। ফলে বিভিন্ন জেলা এমনকী অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ এটি চাক্ষুষ করতে ভিড় জমাচ্ছেন ভরতপুরে।
advertisement
‘আপনা ঘর আশ্রম’-এর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডা. বিএম ভরদ্বাজ জানান, আশ্রমে বিপুল সংখ্যক আবাসিকের বাস। এত খাবার রান্না করতে বেশি সময় লেগে যেত। এটা মাথায় রেখেই এই রান্নাঘর তৈরি হয়েছে। বসানো হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মেশিন। যার মধ্যে রয়েছে রুটি মেকার, ভেজিটেবল কাটার ও ওয়াশিং মেশিন, পিলিং মেশিন, পনির মেকার মেশিন ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, এই রান্নাঘর দুই ভাগে বিভক্ত – ফায়ার জোন এবং নন-ফায়ার জোন। খাবার রান্না হবে ফায়ার জোনে এবং উপকরণগুলো রাখা হবে নন-ফায়ার জোনে। এর জন্য দুটি জেনারেটর সেটও বসানো হয়েছে, বিদ্যুৎ বিকল হলে সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন- রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! কমিশনারহীন নির্বাচন কমিশন, বিশ বাঁও জলে পঞ্চায়েত ভোট
এর পাশাপাশি রান্নাঘরে বিশেষ ধরনের কাস্টোমাইজড যন্ত্রপাতিও বসানো হয়েছে। যেগুলি ১ ঘণ্টায় ১ টন সবজি কেটে, খোসা ছাড়িয়ে এবং ধুয়ে ফেলে। প্রতি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৬ হাজার চাপাটি তৈরির একটি মেশিন রয়েছে এবং এক ঘণ্টায় এক হাজার কেজি ময়দা মাখার জন্য দু’টি মেশিনও বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “এমন একটি মেশিনও বসানো হয়েছে, যার মধ্যে ময়দা ঢেলে ঘণ্টায় এক হাজার চাপাটি তৈরি হয় ঘি দিয়ে।”