TRENDING:

Independence Day: তাঁর তৈরি বোমা নিয়েই কিংসফোর্ডকে মারতে গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম, বোমা তৈরির মাস্টার এই ব্যক্তিকে চেনেন

Last Updated:

Independence Day Celebration: তিনি শুধু অস্ত্র প্রশিক্ষকই নন, তিনি ছিলেন অঙ্কন প্রশিক্ষক, চেনেন এই বিপ্লবীকে?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: যে হাতে বোমা তৈরি করেছেন, সে হাতে ধরেছেন রং তুলি। ভারতকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে রক্ষা করা ছিল তার চ্যালেঞ্জ, আর রং তুলিতে সৃষ্টি ছিল তার ভালবাসা। রং তুলির ছোঁয়ায় প্রতিটি ছবি যেন প্রাণ ফিরে পেত। ব্রিটিশ হঠাতে তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। শিখিয়েছিলেন বোমা তৈরির কৌশল। তার তৈরি বোমা নিয়ে ক্ষুদিরাম বসু গিয়েছিলেন অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে মারতে। আলিপুর বোমা মামলায় বিচারে তার দ্বীপান্তর হয়। তবুও তার হাতের ছোঁয়া এবং রং তুলির টান আজও মনে রেখেছে সকলে। এখনও তার হাতের স্বাক্ষর তেল রঙে আঁকা ছবি সাজিয়ে রাখা হয়েছে মেদিনীপুরের একটি কলেজে। জানেন সেই বিপ্লবীকে?
advertisement

তৎকালীন সময়ে ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ হঠাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছেন ভারতীয় যুবকেরা। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গোপন বিপ্লবী সংগঠনের নেতা তথা আলিপুর বোমা মামলায় অরবিন্দ ঘোষের সহ অভিযোগী বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তার দ্বীপান্তর যাত্রা হয়। মনে করা হয়, তিনিই প্রথম বিপ্লবী যিনি ভারতবর্ষ থেকে বিদেশে গিয়েছিলেন সামরিক নানা কৌশল শেখার জন্য। ব্রিটিশ মারতে তিনি তৈরি করেছিলেন বোমা। তাকে অস্ত্রগুরু আখ্যায় ভূষিত করা হয়েছে। তবে বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি হেমচন্দ্র কানুনগো ছিলেন একজন প্রতিভাবান শিল্পী। যার হাতের ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত হয়েছে একাধিক ছবি। সাদা ক্যানভাসে রং তুলি দিয়ে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন পোর্ট্রেট। যা এখনও সংরক্ষিত। বেশ কয়েক বছর আগের তার আঁকা ছবি বর্তমান শিল্পীদের কাছে অত্যন্ত আবেগের।

advertisement

আরও পড়ুন – US and Bangladesh: আমেরিকা ‘ললিপপ’ ধরিয়েছে বাংলাদেশকে! আর ভারতকে প্রায় পুঁতে ফেলেছে এমন হাবভাব, জোর লাফালাফি ইউনূসের

বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো জন্মেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড়ে। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন হেমচন্দ্র।কিন্তু শৈশব থেকেই ছবি আঁকার অভ্যাস ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকা ছিল তার শখ। শেষে কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুল এবং বউবাজার আর্ট গ্যালারি থেকে অঙ্কনে শিক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে অঙ্কন প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে ধীরে ধীরে তার বৈপ্লবিক জীবনে হাতেখড়ি। অন্যান্য বিপ্লবীদের শিক্ষা দিয়েছেন বোমা তৈরি কৌশলের। ধীরে ধীরে সকলের কাছে হয়ে উঠেন অস্ত্রগুরু।

advertisement

View More

তবে রাজা নরেন্দ্রলাল খান এবং অঞ্জলি খানের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন হেমচন্দ্র কানুনগো। তাদের অনুগ্রহে হেমচন্দ্র এঁকেছিলেন একাধিক ছবি। ১৯২৭ সালে এঁকেছেন রাজা নরেন্দ্র লাল খানের প্রতিকৃতি। ক্যানভাসে তেল রং দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তার প্রতিকৃতি। এছাড়াও গোপ প্যালেস বর্তমানে যা গোপ কলেজ নামে পরিচিত তার অভ্যন্তরে থাকা একাধিক ছবি নিজের হাতে এঁকেছেন হেমচন্দ্র।

advertisement

বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর কারাবাস শেষে ১৯২১ সালে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে ছবি আঁকা, লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। মেদিনীপুরে ফিরে এসে বেশ কিছুদিন তিনি ছবি এঁকে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করেন।

স্বাভাবিকভাবে শুধু বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড নয়, কিংবা ব্রিটিশ হটাতে বোমা তৈরির কৌশল শেখান নয়, নারায়ণগড়ের ভূমিপুত্র তথা বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিল্পী। যার হাতে আঁকা এক একটি ছবি যেন প্রাণবন্ত। দেশ মা\’কে রক্ষা করতে শুধু হাতে অস্ত্র তুলে নেননি, সেই হাতে এঁকেছেন নানা ছবি।

advertisement

Ranjan Chanda

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Independence Day: তাঁর তৈরি বোমা নিয়েই কিংসফোর্ডকে মারতে গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম, বোমা তৈরির মাস্টার এই ব্যক্তিকে চেনেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল