লিখেছেন যে, “এটা কপিল শর্মার শোয়ের স্ক্রিনশট। এখানে মাথার উপর উঁচিয়ে থাকা বিনুনিকে লোক হাসানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ ব্রাহ্মণদের জন্য এই বিনুনি রাখা বৈদিক ধর্মের অঙ্গ। কিন্তু ফিল্মি দুনিয়ায় বিনুনিকে লোক হাসানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। অথচ কোনও ব্রাহ্মণ আপত্তিও জানাননি।”
advertisement
এটাই প্রথম নয়, এর আগে বিভিন্ন সময়ে আইএএস নিয়াজ খান বলিউড এবং সমাজের রীতিনীতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। সম্প্রতি তিনি আরও বলেছেন যে, ভারতে প্রায় ৮০ শতাংশ হিন্দুর বাস। ফলে রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই দলগুলি যদি হিন্দুদের কথা না বলে, তাহলে কার কথা বলবে। হিন্দুরা হলেন বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল সম্প্রদায়। আর হিন্দুরা সকলকে ভালবাসতে জানেন। মুসলিমদের বুঝতে এবং মন বড় করতে হবে।
নিয়াজ খানের নতুন বই – ‘ওয়ার এগেনস্ট কলিযুগ’:
আইএএস নিয়াজ খান নিজের ভক্তদের জন্য নতুন বার্তাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, “আমি আগে ‘ব্রাহ্মণ দ্য গ্রেট পার্ট ২’ লেখার কথা ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে তার পরিবর্তে সনাতনকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ‘ওয়ার এগেনস্ট কলিযুগ’ লিখতে শুরু করেছি। নাগা সাধুদের বিষয়ে আমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। ফলে ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়দের পাশাপাশি তাঁদেরও স্থান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। মেট্রো রেল, এরোপ্লেন, বুলেট ট্রেন, বিলাসবহুল ভবন, ঝাঁ-চকচকে শহর, আজগুবি পোশাক আমাকে আকর্ষণ করে না। মূলত শ্বেতাঙ্গরাই এগুলোর সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটিয়েছেন। বরং আমায় আকর্ষণ করে প্রাচীন সনাতন সংস্কৃতি। আর আশার বিষয় হল, শ্বেতাঙ্গরাও আজকের দিনে মানসিক শান্তির জন্য সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।”
এক জায়গায় আইএএস নিয়াজ খানকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যে সততা ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল, আজ সেই সততা সম্মানের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একজন সৎ ব্যক্তি কোনও রকম মূল্য বা সম্মান পান না। আসলে সমাজও সৎ মানুষ পছন্দ করে না। কিন্তু কেন আর কীভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? এর উত্তর পেতে গেলে পড়তে হবে আমার বই – ‘ওয়ান্স আই ওয়াজ ব্ল্যাক ম্যান’।”