এমন পরিস্থিতিতে UPSC-র প্রস্তুতি নিয়ে Local 18 নিয়ে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস, যা সকলেরই মনে রাখা উচিত। আসলে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ডিএফও রাজেশ কুমার ২০১৭ সালের আইএফএস পরীক্ষায় ৫৫-তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তিনি UPSC ইন্টারভিউয়ে সাফল্য পাওয়ার টিপস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগরের সৈকতে সাংঘাতিক কাণ্ড! ছুটে বেড়াচ্ছে বঙ্কো-ম্যাক্সি, কারা এরা?
advertisement
কীভাবে UPSC ইন্টারভিউয়ে পাশ করা সম্ভব?
সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষার সময় যখন ইন্টারভিউয়ের পালা আসে, অনেক পরীক্ষার্থীই এটি নিয়ে চাপে পড়েন। মেরঠের ডিএফও রাজেশ কুমারের মতে, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এর জন্য প্রত্যেকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় পান, যাতে তিনি সংশ্লিষ্ট প্যানেলের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। এতেই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন যে, আসলে তরুণ-তরুণীরা টেনশন নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে আসেন। অনেক সময় সব কিছু জানা সত্ত্বেও ভুল উত্তর দিয়ে বসেন তাঁরা।
ইন্টারভিউয়ের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে?
ডিএফও রাজেশ কুমার বলেন, পরীক্ষার্থী যে বিষয়েই পরীক্ষা দিয়েছেন, সেই বিষয় সম্পর্কিত সমস্ত সঠিক তথ্য মাথায রাখতে হবে। যাতে ইন্টারভিউ চলাকালীন তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সেগুলির উত্তর অনায়াসে দিতে পারেন। তিনি বলেন যে, অনেক সময় পরীক্ষার্থীরা ইন্টারভিউয়ের সময় খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েন, যার কারণে উত্তর দিতে ভুল হয়ে যায়।
বে তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার একেবারেই প্রয়োজন নেই। ইন্টারভিউয়ের সময় পরীক্ষার্থীর মনোভাব এবং যোগ্যতাই পরীক্ষা করে দেখে সংশ্লিষ্ট প্যানেল। এমতাবস্থায় পরীক্ষার্থীর যেটুকু জ্ঞান রয়েছে, তার ভিত্তিতেই তাঁদের উত্তর দিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন- পেশায় রাজমিস্ত্রি, প্যাশনে কবি! বাংলার ছেলেকে আশীর্বচন দিয়ে কে চিঠি দেন জানেন?
উত্তর দিতে তাড়াহুড়ো নয়:
ডিএফও রাজেশ কুমার বলেন, ইন্টারভিউয়ের সময় উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা একেবারেই চলবে না। প্রথমে প্রশ্নটি মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং তারপরে উত্তর দিতে হবে। কারণ অনেক সময় তাড়াহুড়ো করলে উত্তর ভুল হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি অনেক সময় এমন প্রশ্নও করা হয়, যা আদতে পরীক্ষার্থীর বিবেক পরীক্ষা করার কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষার্থীরা যে ক্ষেত্রেই নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাইছেন, সেটা আইএফএস, আইএএস কিংবা পিসিএস হোক, সেই বিষয়ে তাঁদের কাছে এর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য থাকা উচিত।
এই বিষয়গুলিতে বিশেষ মনোযোগ:
১. রাজেশ কুমার বলেছেন যে, বর্তমানে বিভিন্ন মক টেস্টও নেওয়া হয়। আর এই মক টেস্টে অংশগ্রহণ করে প্রস্তুতি কতটা জোরালো, তা যাচাই করে দেখা যেতে পারে।
২. মক টেস্টে আসা মন্তব্যের উপর কোনও রকম মনোযোগ দেওয়া চলবে না। আসলে নিজের ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে থাকতে হবে।
৩. লেখার সময়ও বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পরীক্ষার্থী যে এলাকার বাসিন্দা, সেই এলাকার পরিবেশ সম্পর্কেও তাঁর ভাল জ্ঞান থাকতে হবে।
৪. এর পাশাপাশি নিজের বায়োডেটায় ব্যক্তিগত বিবরণ, হোমটাউন, শখ, অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, বিশদ বিবরণ-সহ সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তরগুলির জন্য ভাল ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।