এত টাকার মালিক হতে কে না চায়! ব্যাপারটা সহজ না হলেও অসম্ভব নয় মোটেই। এ জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সঙ্কল্প। সঙ্গে লাগবে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা।
ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে এ দেশে ধনী কী ভাবে হওয়া যায়? ভারত উন্নয়নশীল দেশ।
আরও পড়ুন- Viral Video: পেটের দায়ে Zomato ডেলিভারি বয়ের কাজ নিল ৭ বছরের ছেলে
advertisement
কিছু পরিস্থিতিতে অর্থ উপার্জন কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে প্রতিভাকে সঠিক পথে বিকশিত করতে পারলেই লক্ষ্মীলাভ সম্ভব। কঠোর পরিশ্রম, স্মার্ট দৃষ্টিভঙ্গী এবং কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য পেলে ধনী হওয়া কে আটকায়! পথও রয়েছে চোখের সামনেই—
ইউটিউব:
ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইউটিউব (YouTube)। এতে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে শুধু টাকা উপার্জন নয়, খ্যাতির শিখরেও পৌঁছনো যায়। এ জন্য সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সেটা কমেডি, রান্না, শিক্ষা, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস হতে পারে।
যত বেশি দর্শক দেখবেন, আয়ও তত বাড়বে। ইউটিউব ভিডিও প্রমোট করার জন্য অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত ভিডিও আপলোড এবং দর্শকের মনোরঞ্জন করতে পারলেই এই ডোমেনে ভাগ্যলক্ষ্মী এসে ধরা দেবে সহজেই।
আরও পড়ুন- Viral Video: দানবাকৃতি সাপ জড়িয়ে ধরেছে আস্ত গাড়ি! দুর্বল হৃদয়দের জন্য নয় এই ভাইরাল ভিডিও
ফ্রিল্যান্সিং:
ফ্রিল্যান্সার হলেন স্বনির্ভর ব্যক্তি। যিনি অ্যাসাইমেন্ট অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন। এই পেশায় তাঁরাই সফল হতে পারেন যাদের দক্ষতা এবং যোগ্যতা রয়েছে। সঙ্গে সময়ে কাজ শেষ করার ক্ষমতা।
এটা স্বাধীন পেশা। চাকরির বাঁধা গতে না থেকেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর আয় করার সুযোগ রয়েছে। কারণ দক্ষতা থাকলে একজন একাধিক কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন।
স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ:
স্টক, বন্ড এবং ইকুইটিতে বিনিয়োগ করে বিশাল উপার্জন করা সম্ভব। বড়লোক হওয়ার সবচেয়ে নিশ্চিত এবং মর্যাদাপূর্ণ পথগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। তবে হ্যাঁ, এ ক্ষেত্রে উপার্জন করতে ট্রেডিংয়ের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে এবং মৌলিকভাবে ভালো স্টকে বিনিয়োগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ব্যবসা:
বিশ্বের ১০ জন ধনী ব্যক্তির দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রত্যেকেই ব্যবসায়ী। কেউই চাকরি করেন না। আসলে ব্যবসায় বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আয়ের নির্দিষ্ট কোনও সীমা এখানে নেই।
কিন্তু চাকরিতে আয়ের সীমা নির্দিষ্ট। তাছাড়া ব্যবসা আত্মবিশ্বাস দেয়। অনেক গৃহিণীও তাঁদের শিল্পকর্মের শখকে ব্যবসায় পরিণত করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
বেশি সঞ্চয়:
ধনী মানে হাতে বেশি টাকা। এ জন্য সঞ্চয় একটা পথ হতে পারে। মাসের শেষে হাতে আরও বেশি অর্থ রাখার চাবিকাঠি হল বেশি সঞ্চয় এবং কম খরচ করা।
চাকরিজীবীদের জন্য সঞ্চয় আরও গুরুত্বপূর্ণ। তবে ধনী হওয়ার জন্য বেশি অর্থ কখনই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সেই অর্থ দিয়ে কী করা হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। বুদ্ধিমান ব্যক্তি তাঁর অর্থ এমন জায়গায় বিনিয়োগ করেন যেখানে সেটা ভালো রিটার্ন দেয়।
ভারতে সত্যিকারের ধনী হওয়ার জন্য বিলাসবহুল জিনিসে অর্থ ব্যয় করার পরিবর্তে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।