মঙ্গল গ্রহে পৌঁছতে কত সময় লাগে: নাসা বলছে, মঙ্গল গ্রহে পৌঁছতে সময় লাগে ৯ মাস। আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট সময় লাগে ২১ মাস। কারণ, মঙ্গল ও পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসতে তিন মাস লাগে। অবশ্য নাসা নিজেই এর চেয়ে কম সময়ে মঙ্গলে তাদের রোভার পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন:‘এই’ পাতার রস গা-য়ে ঘষলেই বাপ বাপ বলে পালায় মশা! দারুণ কাজের..নাম জানেন গাছের?
advertisement
দুটি গ্রহের মধ্যে দূরত্ব: মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে কত সময় লাগে তা জানতে প্রথমে মঙ্গল ও পৃথিবীর দূরত্ব জানতে হবে। মঙ্গল সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় নিকটতম গ্রহ। কিন্তু উভয়ের মধ্যে দূরত্ব পরিবর্তিত হতে থাকে কারণ উভয়েই সূর্যকে নিজ নিজ কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। তাত্ত্বিকভাবে, যখন পৃথিবী এবং মঙ্গল একে অপরের কাছাকাছি থাকে, তখন তাদের মধ্যে দূরত্ব হয় ৫.৪৬ কোটি কিলোমিটার। যেখানে দুজনের মধ্যে গড় দূরত্ব ২২.৫ কোটি কিলোমিটার।
শক্তি সংকট: পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে মাত্র ৩.১১ মিনিটে পৌঁছনো যায়। নাসার দ্রুততম মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব ঘণ্টায় ৫ লক্ষ ৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে গিয়েছিল। সেবার সময় লেগেছিল ৯৫ ঘণ্টা। পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে যেতে কোনও বস্তু বা মানুষের কতটা সময় লাগবে তা নির্ভর করবে এনার্জির উপর।
দীর্ঘ পথ বা কম: মঙ্গল গ্রহে যাত্রায় পৃথিবীর বাইরে যাওয়ার জন্য উৎক্ষেপণ, অবস্থান পরিবর্তন, জ্বালানির পরিমাণ ইত্যাদি বিষয়গুলোও দেখতে হয়। দ্রুত পৌঁছনোর জন্য প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন। ভারতের মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছতে ৯ মাস সময় লেগেছিল। নাসার পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গলের পৃষ্ঠে ৭ মাসে পৌঁছে যায়। চিনের মহাকাশযানও একই সময় নিয়েছিল। মঙ্গল গ্রহে পৌঁছতে নাসা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সময় লেগেছে ১৫৫ থেকে ৩৩৩ দিন।
মঙ্গল গ্রহের কথা বললে এলন মাস্কের কথাও বলতেই হয়। তিনি মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপন করতে চান। এ জন্য তাঁর কোম্পানি স্পেসএক্স একটি বিশেষ স্টারশিপ তৈরি করেছে। ৬ মাসের মধ্যে তারা মঙ্গলে পৌঁছতে চায়। তবে মাস্কের কোম্পানি এমন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে যাতে এই সময় আরও কম লাগে।