এমনকি কিছু পর্যটকও দাবি করেন, তারা ট্যুর চলাকালীন পুতুলটিকে দেখতে পাননি। এই গুজব আরও বেড়ে যায় যখন এক সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী পোস্ট করেন, ১৩ মে ২০২৫-এ পুতুলটি নিউ অরলিন্সে আনা হয়। সেখানে ১৫ মে আগুন লাগে। ১৬ মে ১১ জন কয়েদি পালায় — যা অনেকেই ‘অমঙ্গলজনক যোগাযোগ’ হিসেবে দেখছেন।
তবে এই গুজব খুব দ্রুতই খণ্ডন করেন নিউ ইংল্যান্ড সোসাইটি ফর সাইকিক রিসার্চ (NESPR)-এর প্রধান তদন্তকারী ড্যান রিভেরা। তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানান, অ্যানাবেল এখনো NESPR-এর ওয়ারেন’স অকাল্ট মিউজিয়ামের কাঠের কেসের মধ্যে সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তার কথায়, “অ্যানাবেল নিখোঁজ নয়; সে শিকাগোতেও নেই।”
আরও পড়ুনঃ ধাক্কা-ধাক্কি থেকে চর-ঘুষি! বাংলাদেশের ব্যাটারকে মাঠেই প্রহার দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারের!ভাইরাল ভিডিও
প্রসঙ্গত, অ্যানাবেল পুতুলের ইতিহাস ১৯৭০-এর দশকের কানেক্টিকাটে, এক নার্সের হাতে উপহার হিসেবে আসার পর থেকেই শুরু। তার নড়াচড়া, নোট রেখে যাওয়া এবং আক্রমণাত্মক আচরণ এই পুতুলকে ভয়ঙ্কর এক কিংবদন্তিতে পরিণত করে। যদিও ওয়ারেন’স মিউজিয়াম এখন জনসাধারণের জন্য বন্ধ, বিশেষ অতিথিদের জন্য এখনও এটি খোলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও স্পষ্ট হলো, রহস্য ও আতঙ্ক নিয়ে অ্যানাবেল আজও মানুষের কল্পনা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।