৪৮ বছরের ই-রিকশা চালক প্রদীপের মৃতদেহ ১৪ জুলাই পাওয়া যায় গ্রামের এক বাগানে। মৃতদেহটি পড়ে ছিল নির্জন জায়গায়, যা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর যায়। তদন্তে নামে হরিদ্বার পুলিশ।
আরও পড়ুন: সবার সামনে বিয়ের মঞ্চে বরকে চরম অপমান পাত্রীর! মারা হল ধাক্কা, ছোঁড়া হল গলার মালাও…! দেখুন ভিডিও…
advertisement
প্রদীপের ভাতিজা মাঙ্গেরামের অভিযোগেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি জানান, প্রদীপের স্ত্রী রীনার আচরণ কিছুদিন ধরেই অস্বাভাবিক ছিল। রীনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল অসুস্থতার কারণে। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই গ্রামেরই সলেক নামের এক যুবকের সঙ্গে রীনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
প্রেম এতটাই গভীর হয় যে, রীনা তৃতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। আর তার পথে একমাত্র বাধা ছিলেন স্বামী প্রদীপ। তাই সলেকের সঙ্গে মিলে সে সিদ্ধান্ত নেয়, প্রদীপকে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়ার।
আরও পড়ুন: সাপের উপদ্রব বেড়েছে চলতি শ্রাবণে? রাতে ঘুমানোর আগে মেনে চলুন এই ৫ টিপস, সাপ থাকবে বহু দূরে
পুলিশ তদন্তে মোবাইল কল রেকর্ড, গোপন সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে জানতে পারে, প্রদীপকে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে খুন করা হয়। এরপর তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয় বাগানে।
খুনের পর থেকেই সলেক গা ঢাকা দেয়, মোবাইলও বন্ধ রাখে। পুলিশ তাকে লক্সর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করে এবং পরে রীনাকেও হেফাজতে নেয়। জেরা করতেই দুই অভিযুক্তই স্বীকার করে নেয় তাদের অপরাধ।
এই ঘটনা শুধু এক নারকীয় খুনের নয়, এক ভয়ংকর মানসিক অবক্ষয়েরও প্রতিচ্ছবি, যেখানে ভালোবাসার মোহে জীবনহানিই হয়ে ওঠে সহজ পথ।