ক্যাসিয়ানভ বলেন যে, ওই এলাকার করবস্থান থেকে ১০০০-এরও বেশি শিল্পকর্ম উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০টি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। আর সরমাটিয়ান অ্যানিম্যাল স্টাইলে তৈরি করা গহনাও ছিল। সেই সময় ওই এলাকায় শিকারী প্রাণীদের ছবি পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল লেপার্ড, বন্য শূকর এবং বাঘ। খননকার্যের সময় মানুষের দেহের অবশিষ্টাংশ, মাটির সামগ্রী, কাঠের দুটি বিকল বাটি, সোনার হাতল-ওয়ালা দুটি কালো পরশপাথরও মিলেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চাপা পড়ে থাকা সত্ত্বেও কাঠ একেবারেই নষ্ট হয়নি।
advertisement
যাযাবরদের জীবনের অংশ:
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে যাযাবর সরমাটিয়ানরা পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার মধ্যবর্তী স্টেপ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে প্রাচীন মৌখিক ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ফারসি লেখায় তাঁদের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। তাঁরা কৃষ্ণ সাগর থেকে চিন পর্যন্ত প্রসারিত যাযাবরদের বিস্তৃত সিথিয়ান সংস্কৃতির অংশ হতে পারেন। সরমাটিয়নদের সঙ্গে পরে যোগ দিয়েছিলেন গথ এবং অন্যান্য জার্মানিক উপজাতিরা। যাঁরা পঞ্চম শতাব্দীতে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর তাঁদের দেশে বসতি স্থাপন করেছিলেন।
আরও পড়ুন– ট্রেনের AC কোচে বসেছিল যুবক, GRP এসে তার ব্যাগের তল্লাশি চালায়, সেখানে যা মিলল…!
মিলেছে সোনার ব্রেসলেটও:
২০২৩ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে আতিরাউ অঞ্চলের ক্যারাবাউ ২ কবরে খননকার্যে একাধিক জিনিস সামনে এসেছিল। এই ধরনের কবর বা বারিয়াল মাউন্ডকে পূর্ব ইউরোপে কুরগান বলে ডাকা হয়। তুর্কি শব্দ মাউন্ড থেকে এসেছে এই কথাটি। ক্যারাবাউ ২ কুরগান প্রায় ১০ ফুট লম্বা এবং এর ব্যাস ২৩০ ফুট। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বিশ্বাস করেন যে, প্রায় ৯ জনকে কবর দেওয়ার জন্য এগুলি ব্যবহার করা হত। কয়েক কিলোমিটার দূরের অন্যান্য মাউন্ডও খনন করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। যেখানে রয়েছে ১০ থেকে ১৫টি করে সমাধি। একটি সমাধি থেকে ৩৭০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়েছে।