কিন্তু এই দাবি কি সত্যি? পেঙ্গুইনের ডিম কি সত্যিই এমন অদ্ভুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়? এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি, তবে ২০২২ সালের IFLScience-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে এর পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সন্তানদের বাঁচাতে মরিয়া মা, পা দিয়ে চেপে ধরলেন বিষাক্ত সাপটিকে! তারপর যা হল..দেখুন ভিডিও…
advertisement
সেদ্ধ পেঙ্গুইনের ডিমে কী ঘটে? মুরগির ডিম সেদ্ধ করলে যেভাবে সাদা ও শক্ত হয়ে যায়, পেঙ্গুইনের ডিম নাকি তেমন হয় না। IFLScience-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পেঙ্গুইনের ডিমের অ্যালবুমিন (সাদা অংশ) জমাট বাঁধলেও এটি অস্বচ্ছ না হয়ে জেলির মতো স্বচ্ছ থেকে যায়, যার ফলে ভেতরের কুসুম দেখা যায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মুরগির ডিমে মূলত ওভালবুমিন নামে একটি প্রোটিন থাকে, যা সেদ্ধ হলে সাদা রঙ ধারণ করে। কিন্তু পেঙ্গুইনের ডিমে ২৫ শতাংশ পেনালবুমিন থাকে, যা তাদের অ্যান্টার্কটিকার বরফাচ্ছন্ন পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: বালিশের মধ্যে ওটা কী! একটু নড়াচড়া হতেই এ কী বেরিয়ে এলো, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভাইরাল ভিডিও…
পেঙ্গুইনের ডিম খাওয়া যায় কি? পেঙ্গুইনের ডিম বহু বছর ধরে খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কট পোলার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক রবার্ট হেডল্যান্ড জানিয়েছেন যে অ্যান্টার্কটিকার অভিযাত্রীরা পেঙ্গুইনের মাংস ও ডিম খেয়ে টিকে থাকতেন।
জেন্টু পেঙ্গুইন প্রতি মরশুমে একাধিক ডিম পাড়ে, তাই তাদের ডিম খাবারের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হত। তবে এখন বেশিরভাগ অঞ্চলে পেঙ্গুইন শিকার ও তাদের ডিম সংগ্রহ অবৈধ, শুধুমাত্র বিশেষ লাইসেন্সের মাধ্যমে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো কিছু জায়গায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
Penguin egg whites turn clear when boiledadvertisement
গবেষক হেডল্যান্ড জানান, পেঙ্গুইনের ডিম সেদ্ধ করলে এতে মাছের স্বাদ পাওয়া যায়, কারণ এই পাখির প্রধান খাদ্য হল ক্রিল (এক ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী)। অতীতে অভিযাত্রীরা এই স্বাদ অপছন্দ করতেন, তাই ডিমের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেতেন। ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে স্থানীয়রা পেঙ্গুইনের ডিম দিয়ে পাভলোভা (এক ধরনের মিষ্টি) বানানোর কথাও জানিয়েছেন।