আসলে নিখোঁজ তরুণীর বাড়ির লোকের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল তাঁর স্বামীর উপরেই। কিন্তু পুলিশকে জানানো হলেও তাতে পাত্তা দেয়নি পুলিশ। এখন অভিযুক্ত স্বামী এই অপরাধের কথা কবুল করায় পরিবারের রাগ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। আসলে সূত্রের খবর অনুযায়ী, গাজিয়াবাদের মোদিনগরের বাসিন্দা মধু শর্মা বেশ কয়েক দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তরুণীর পরিবারের তরফে। মধুর স্বামী বীরেন্দ্র ওরফে সোনুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন তাঁরা। তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ যে, বীরেন্দ্র অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। অথচ দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে মধুকে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত দেয়নি। এখন এদিকে তাদের পরিবারের কন্যা আচমকাই উধাও হয়ে গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন– রতন টাটার উইলে চমক! জামশেদপুরের এক ব্যক্তিকে ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি উপহার, কে তিনি?
মধুর পরিবার অভিযোগ দায়ের সত্ত্বেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখেনি। এরপর হরিদ্বার থেকে মধু শর্মার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশি তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে যে, মধুকে খুন করেছে তাঁর স্বামীই। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বীরেন্দ্র এই অপরাধের কথা কবুল করে নিয়েছে। অভিযুক্ত এ-ও জানিয়েছে যে, ২০০২ সালে মধুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। কিন্তু এর বছর দুয়েক পরে পথ আলাদা হয়েছিল মধু এবং বীরেন্দ্রর। ২০১৪ সাল থেকে আদালতে এই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। সম্প্রতি আদালত এই বিবাহবিচ্ছেদের অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে বীরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশও দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে।
পুলিশের কাছে বীরেন্দ্র জানিয়েছে যে, হরিদ্বারে মন্দির দর্শন করানোর জন্য মধুকে নিয়ে গিয়েছিল সে। সেখানে সুযোগটা হাতে চলে এসেছিল তার। এরপরেই মাথায় খেলে গিয়েছিল এক বুদ্ধি। তাই যেমন ভাবে, তেমনই কাজ! মধুকে খাদে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় সে। এরপর পাথরের আড়ালে মধুর দেহ লুকিয়ে ফেলে সে। আর মধুকে খুন করেই সেখান থেকে পালিয়েও যায় অভিযুক্ত বীরেন্দ্র। কিন্তু তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।
মোদিনগর এসিপি জ্ঞান প্রকাশ রাই বলেন যে, মধু শর্মার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই বিষয়ে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত বীরেন্দ্র নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। সে মধুকে হরিদ্বারে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর তাঁকে খুন করে দেহ লোপাট করে দেয় অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।