ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? বছর তিনেকের শিশুপুত্র নিমরিতকে সঙ্গে নিয়ে লিফটে উঠেছিলেন সোসাইটির বাসিন্দা বছর ছত্রিশের গুরপ্রীত কউর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সজোরে সশব্দে বেসমেন্টে পড়ে লিফট। এরপর সন্তানকে হাতে আঁকড়ে ধরে লিফটের দরজা খোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু দরজা কিছুতেই খোলে না। এর কিছুক্ষণ পরে লিফট স্বয়ংক্রিয় ভাবে উপরে উঠে থামে এবং আপনাআপনিই দরজা খুলে যায়। বেরিয়ে আসেন গুরপ্রীত আর তাঁর সন্তান।
advertisement
আরও পড়ুন– নবমীর দিন থেকে হাওয়া বদল ? আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
গুরপ্রীতের স্বামী আকাশদীপ শর্মা বলেন, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে লিফটে উঠেছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান। গন্তব্য ছিল ১৭-তলা। অবশ্য সোসাইটির আরও দু’জন বাসিন্দা লিফটে ছিলেন। তাঁরা নেমে গিয়েছিলেন নয় তলায়। এরপর লিফটের দরজা বন্ধ হতেই বিপত্তির সূত্রপাত। কয়েক সেকেন্ডের জন্য থেমে নীচের দিকে পড়তে শুরু করে। বিশাল ঝাঁকুনি হতে হতে লিফটটি নিচের দিকে আছড়ে পড়তে শুরু করে। গুরপ্রীত প্রাণপণ লিফটের অ্যালার্ম বাটনে চাপ দিলেও তা কাজ করেনি। দু’জনে মিলে আপ্রাণ চেঁচামেচি করার পরেও কেউ তাঁদের বাঁচাতে ছুটে যাননি। এর প্রায় মিনিট পনেরো পরে লিফটটি নিজে থেকেই উপরে গিয়ে এক তলায় থামে। আর লিফটের দরজা খুলে যায়।
আকাশদীপ আরও বলেন যে, তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের কোনও রকম চোট লাগেনি ঠিকই, তবে তাঁরা দু’জনেই মানসিক ভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন। আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়তেই চাইছে না। এরপরে গুরপ্রীতের স্বামী রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “এটা তো গভীর উদ্বেগের বিষয়। কারণ কোনও রকম পাওয়ার কাট তো হয়ইনি। তাহলে লিফটে কীভাবে গোলযোগ হল? আর অ্যালার্মও তো কাজ করছিল না!”
রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার অফিসে একাধিক বার কল করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। যদিও ওই সোসাইটির বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ভোল্টেজের মারাত্মক ওঠা-নামার কারণেই এই গোলযোগ ঘটে থাকতে পারে। তবে অ্যালার্ম কেন বাজেনি, সে জবাব অবশ্য তাঁরা দিতে পারেননি।