ভিন্ড পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সেদিন ডিউটিতে ছিলেন হেড কনস্টেবল অরুণ দীক্ষিত। হঠাৎ একটা ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে বলে, ‘ভোপাল কমিশনারের অফিস থেকে সাব ইন্সপেক্টর বীরেন্দ্র সিং বলছি। আমি উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছি। গার্ডের ব্যবস্থা করো।’
হেড কনস্টেবল আকাশ থেকে পড়লেন, ‘‘এটা তো আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আপনি বরং ডিএসপি হেড কোয়াটার্সের সঙ্গে কথা বলুন’। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন যায় ডিএসপি সদর দফতরে। সেখানে তখন ছিলেন সঞ্জয় কোচা। তাঁর কাছে ফোন আসে, ‘‘ভোপাল কমিশনার হরিনারায়ণচারী মিশ্রের গানম্যান বলছি। ইউপি যাচ্ছি। গার্ড লাগবে। কমিশনার সাহেব লাইনে আছেন, কথা বলুন।’’
advertisement
আরও পড়ুন– 6174 কেন ম্যাজিক্যাল সংখ্যা? কে তা আবিষ্কার করেছেন? খুব কম সংখ্যক মানুষই এই বিষয়ে জানেন
‘কমিশনার সাহেব’ ফোন নিয়ে বলেন, ‘কেমন আছেন, বাড়ির সব ভাল তো’? এতেই সন্দেহ হয় কর্মরত অফিসারের। তিনি পুরো কথোপকথন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপরই ঝুলি থেকে বিড়াল বের হয়। ফাঁস হয় বড় রহস্য। এই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে সাইবার সেল থানার ইনচার্জ দীপেন্দ্র যাদবকে দেওয়া হয়। ধরা পড়ে যুবক।
অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তখনই ধীরে ধীরে সামনে আসে, অভিযুক্তরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করত। ইউপি আর মধ্যপ্রদেশ জুড়ে চালাত তাদের কারবার। ধৃত যুবকের নাম অঙ্কিত। বয়স ২৬। গাদি পিপারি থানার সাহসো, ইটাওয়া উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন– ভোটের স্পেশ্যাল ১০০ দিন, লোকসভার আগে গোষ্ঠীকোন্দল ‘চিন্তা’ বঙ্গ বিজেপির!
ডিএসপি সদর দফতরের সঞ্জয় কোচা বলেন, ‘‘সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। কন্ট্রোল রুম থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছিল যে উমরি থানা থেকে একজনের দুজন গার্ড প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রথম কল আসে কন্ট্রোল রুম থেকে উমরি থানায়, তারপর উমরি থানা থেকে আমার কাছে আসে। ওই ব্যক্তি আমাকে বলেন, আমি এসআই রবীন্দ্র সিং বলছি, কমিশনার সাহেব কথা বলবেন।’’
কোচা বলেন, ‘‘আমি কমিশনারের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু ওই যুবক যে কমিশনারের সঙ্গে কথা বলাল, তাঁর গলাটা অন্যরকম। আমার সন্দেহ হয়। ঘটনাটা সাইবার সেলকে জানাই। তারাই ওই যুবককে পাকড়াও করে।’’