বিদ্যা দদাতি বিনয়ং বিনয়াদ যাতি পাত্রতাম।
পাত্রতাদ ধন যদপ্লাতি ধনাদ ধর্ম ততঃ সুখম।।
অর্থ খুব একটা জটিল কিছু নয়। বিদ্যা বিনয় দান করে বা উদ্ধত আচরণ স্বভাবে আসতে দেয় না, বিনয় থেকে যোগ্যতা আসে, সেই যোগ্যতা থেকে হয় ধনলাভ, ধনলাভে ধর্মাচরণের সুযোগ আসে, ধর্মমতে চললে সুখ লাভ হয়। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক পরিবার সম্পর্কে এই শ্লোকের প্রতিটি কথা যেন খেটে যায়।
advertisement
কারণ আর কিছুই নয়! এই পরিবারকে একে সাদামাটা পোশাকে এক গাড়ির শো-রুমে ঢুকতে দেখা গিয়েছে এবং তাঁরা গাড়ি কিনে বেরিয়েছেন। জামাকাপড় কিনতে গেলেও লোকে সেজেগুজে যায়, শপিং মলগুলোতে এক ঝলক নজর ফেললেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়। গাড়ি কিনতে গেলে আড়ম্বর আরও বেশি হয় স্বাভাবিক ভাবেই। এবার যদি ল্যাম্বরগিনির মতো বহুমূল্য গাড়ির কথা ওঠে, তার অনুষঙ্গে সব সময়েই খুব ঝাঁ-চকচকে এক ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। যেমন গাড়ি, তেমনই ধনী এবং চোখধাঁধানো সাজে তার মালিক- এমনটাই সমাজ দেখে অভ্যস্ত।
কিন্তু বেঙ্গালুরুর এই পরিবার অতীব ধনী হওয়া সত্ত্বেও আড়ম্বর প্রদর্শনের পথ দিয়ে যাননি। খুব সাদামাটা, মধ্যবিত্ত যেমন পোশাক পরে, সেভাবেই তাঁরা শো-রুমে গিয়েছেন, কিনেছেন ল্যাম্বরগিনি স্টেরাটো, যার প্রারম্ভিক মূল্য ৪.৬১ কোটি টাকা (এক্স শো-রুম প্রাইস)। তাঁরা গাড়ির ডেলিভারিও নিয়েছেন এক নির্জন জায়গায়, যাতে কোনও ভাবেই লোকে হইহই করতে না পারে! বিত্তশালীর এই নম্র আচরণ নেটপাড়াকে একদিকে যেমন অবাক করেছে, তেমনই আবার মনও কেড়ে নিয়েছে।
ল্যাম্বরগিনি স্টেরাটো আদতে হুরাকানের পুনরাবৃত্তি। এটি ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী চালু করা হয়েছিল, যখন কোম্পানিটি প্রায় এক বছর পরে, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রাহকদের কাছে মডেলগুলো পাঠানো শুরু করে। প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক বাজারে মডেলটির মাত্র ১,৪৯৯ ইউনিট তৈরি করেছে, যার মধ্যে মাত্র ১৫টি ভারতীয় বাজারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।
স্পোর্টস কারটিতে ৫.২-লিটারের প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসপিরেটেড V10 ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যাকে V10 / V90° বলা হয়েছে। এটি ৮,০০০ rpm-এ সর্বোচ্চ ৬০১ bhp পাওয়ার এবং ৬,৫০০ rpm-এ ৫৬০ Nm টর্ক উৎপন্ন করে। এই ইউনিটটি ৭-স্পিড ডুয়াল-ক্লাচ ট্রান্সমিশনের সঙ্গে একটি ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত অল-হুইল-ড্রাইভ সিস্টেম অফার করে।