এনসেট-এর বিজ্ঞানসম্মত নাম এনসেট ভেন্ট্রিকোসম৷ কলার সমগোত্রীয় এই গাছের চাষ প্রচুর পরিমাণে হয় ইথিওপিয়ায়৷ তাই এই পুষ্পল উদ্ভিদকে বলা হয় ইথিওপিয়ান ব্যানানা বা অ্যাবিসিনিয়ান ব্যানানা৷ বর্তমানে এনসেট শস্য প্রায় ২০ মিলিয়ন ইথিওপিয়াবাসীর খাবার৷ ‘আফ্রিকার শিং’ বলে পরিচিত ইথিওপিয়ায় এই উদ্ভিদের চাষ প্রচুর৷
এই গাছের কন্দ এবং কাণ্ডকেই খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়৷ মূল ও কন্দ থেকে শাঁস বার করে ৬ মাস ধরে গেঁজানো হয়৷ তার পর তা দিয়ে তৈরি হয় পাউরুটি৷ ‘কোচো’ নামে পরিচিত এই খাবার ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস৷
advertisement
আরও পড়ুন : মহাসাগরের স্বচ্ছ জলে তিমির সঙ্গে ডলফিনের যুগলনাচ, দেখুন ড্রোন ক্যামেরার অনবদ্য ভাইরাল ভিডিও
‘এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ লেটার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধ এই গাছ নিয়ে আগ্রহ ক্রমশ বাড়িয়ে তুলেছে৷ ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের মুখে খাবার তুলে দিতে পারে এই উদ্ভিদ৷ বছরের যে কোনও সময়ে বিনা যত্নে প্রস্ফুটিত হবে এনসেট৷
আরও পড়ুন : ওর জন্যই রঙিন হয়ে উঠেছিল অতিমারির ধূসর দিনগুলি, অশৌচ রীতি মেনে বন্ধু চড়াইয়ের শ্রাদ্ধশান্তি গ্রামে
আরও পড়ুন : রতন টাটার সাক্ষাৎকারের সময় তাঁর বন্ধু চতুষ্পদ গোয়া আগাগোড়া শান্ত হয়েই বসে রইল
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই নকল কলাগাছের পরিচিত আরও বৃদ্ধি পাওয়া দরকার৷ বিশেষ করে বিশ্ব জুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সময়ে এই গাছের চাষ কৃষিক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশা৷ তাছাড়া এই গাছ ক্ষরা প্রতিরোধ করতে পারে৷ প্রাথমিকভাবে রোয়ান্ডা, উগান্ডা, কেনিয়া-সহ আফ্রিকার অন্যান্য দেশে এর চাষ শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে৷