ওই প্রতিবেদনগুলিতে তুলে ধরা হয়েছিল, ২০০২ সালে সিয়েরা লিওনের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ আলহাজি আহমেদ তেজান কাব্বাহ দ্বারা সিয়েরা লিওনের একটি সরকারি ভাষা হয়েছিল বাংলা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “২০০২ সালে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরপরই, দেশটির রাষ্ট্রপতি আহমেদ তেজান কাব্বাহ ঘোষণা করেন যে বাংলাকে এখন থেকে সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্রের সরকারি ভাষা হিসেবে গণ্য করা হবে শান্তি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশী সৈন্যদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ।”
advertisement
আরও বেশ কয়েকটি সংস্করণে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশি সৈন্যদের শান্তিরক্ষা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা শুধুমাত্র একটি সম্মানসূচক ভাষা হিসাবে স্বীকৃত ছিল।
কিন্তু আসলে বিষয়টা কী? সিয়েরা লিওনের পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কারণে দেশে বেশ কয়েকটি ভাষায় কথা বলা হয়। মেন্ডে, টেমনে এবং ক্রিও ভাষা সে দেশে বেশি প্রচলিত এবং ইংরেজি ভাষা স্কুল এবং সরকারি অফিসিয়াল ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষা সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই।
ইংরেজি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা আরও বলে যে ক্রিও, ইংরেজি এবং বিভিন্ন আফ্রিকান ভাষা থেকে উদ্ভূত একটি ভাষা, যা সিয়েরা লিওনের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা সর্বজনীন ভাষা। এছাড়াও ইংরেজি প্রশাসন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যে ব্যবহৃত সরকারী ভাষা। কিন্তু সরকারি ভাষা হিসেবে কোথাও বাংলার কোনও চিহ্ন নেই।