আকাশছোঁয়া হোটেল ভাড়ার চাপে, ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও রীতিমত বাধ্য হয়েই অনেককেই বাতিল করতে হচ্ছে অন্যান্য বুকিং। তবে এই পরিস্থিতিতেও স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে বন দফতরের আওতায় থাকা নেচার রিসোর্টগুলি। পর্যটকদের স্বস্তি দিয়ে কোনওরকম ফ্লেক্সি ফেয়ারের ব্যবস্থা না রেখে, ফিক্সড ফেয়ারেই বুকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে রিসোর্টগুলি।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় পাহাড়ে ছুটি কাটাতে চান! ডেস্টিনেশন হোক পাহাড়ি গ্রাম তাবাকোশি
advertisement
২০২১ সালে কোভিডের জন্য দীর্ঘ অনেকমাস বন্ধ হয়ে পড়েছিল বন দফতরের আওতায় থাকা রিসোর্টগুলি। বুকিং নেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে রিসর্টগুলি চালু হয়ে গেলেও সেভাবে পর্যটক টানতে পারছিল না সেগুলি। পুজো এবং আসন্ন শীতের মরসুমকে মাথায় রেখে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করে আপাতভাবে রিসোর্টগুলিকে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের তরফে।
আরও পড়ুনঃ স্থাপত্যের প্রতিটি ইটে ঠাসা ইতিহাস, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন মুর্শিদাবাদের 'চার বাংলা মন্দির'
পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য তৈরি বন দফতরের এই নেচার রিসর্টগুলি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের আওতায় থাকা ৩৮টির মধ্যে ৩৫ প্রপার্টিকেই ইতিমধ্যেই সাধারণ পর্যটকদের জন্য চালু করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ১৫০০-৩৩০০ টাকার মধ্যেই রাখা হচ্ছে দিনপ্রতি রুমের ভাড়া। শুধুমাত্র থাকাই নয়, বিভিন্নরকম এক্টিভিটিস এর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে নেচার রিসোর্টগুলির তরফে।
রিসোর্ট বুকিং করতে চাইলে পর্যটকদের ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট থেকেই করতে হবে। তবে প্রযুক্তিনির্ভর বুকিং সার্ভিস ব্যবহার করতে যাদের সমস্যা হবে তাদের জন্য সল্টলেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অফিসে থাকবে হেল্পডেস্ক। কেউ চাইলে সেখানে গিয়েও করতে পারেন বুকিং। WBFDC-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীরজ সিংহল বলেন, "রিসোর্টগুলোর চাহিদা এতটাই বেশি, কোভিডকালের আগে বছরে এই বুকিং থেকেই ৫ কোটি টাকা আয় ছিল রাজ্যের, গত দু'বছরে সেই আয়ের পরিমাণ কমে গেলেও এ বছর ফের রেকর্ড লাভের মুখ দেখতে পারে রাজ্য।
Sanhyik Ghosh