জিমীত জানিয়েছেন তাঁর বাবা অর্থাৎ প্রথম স্বামীকে হারিয়ে খুব ভেঙে পড়েছিলেন মা৷ ২০১৩ সালে ৪৪ বছর বয়সে স্বামীহারা হন তিনি৷ তার ৬ বছর পর ধরা পড়ে তিনি স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত৷
কর্কটরোগের চিকিৎসা চলাকালীন আবার তিনি আক্রান্ত হন কোভিড অতিমারিতে, ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট সংক্রমণে৷ তবে আশা ছাড়তে রাজি ছিলেন না এই লড়াকু মহিলা৷ হারিয়ে ফেলেননি জীবনের প্রতি আশাও৷
advertisement
জটিল রোগ তথা একাকিত্ব, এই দুই পরিস্থিতির সঙ্গে একাই চালিয়ে গিয়েছেন দীর্ঘ সংগ্রাম৷ তাঁর সন্তানরা তখন কর্মসূত্রে বিদেশে৷ এই সময়েই তিনি জীবনে ফের ভালবাসা খুঁজে পান৷ ছক বাঁধা ব্যাকরণের বাইরে গিয়েই প্রেমে পড়েন তিনি৷ জিমীতের মা ভাবেননি লোকে কী বলবে৷
আরও পড়ুন : অভিনেতা থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, ছোটদের প্রিয় প্যাডিংটন ভালুকের কণ্ঠস্বর জেলেনস্কি-ই
কোন কোন কুৎসা তাঁর নামে রটবে! তিনি তাঁর মনের কথা শুনেছেন৷ বিয়ে করেছেন এক পুরনো পারিবারিক বন্ধুকে৷ তাঁর প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি৷ দু’জনে বিয়ের দিন হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভ্যালেন্টাইন্স ডে-কেই৷
আরও পড়ুন : অগ্নিমূল্যের বাজারে মাত্র আড়াই টাকায়! ভাইরাল অমৃতসরের বৃদ্ধের দোকানের শিঙাড়ার ভিডিও
নিজের মায়ের কথা পোস্ট করে জিমীত ভেবে দেখতে বলেছেন সেই সব সন্তানদের, যাঁদের বাবা অথবা মা জীবনে একা হয়ে পড়েছেন৷ তাঁরাও যাতে একাকিত্ব দূর করতে পারেন, সে বিষয়ে সন্তানদের সচেষ্ট হতে বলেছেন জিমীত৷ লাইক ও কমেন্টের বন্যায় ভেসে গিয়েছে জিমীতের পোস্ট সব ট্যাবু দূর করে মনের কথা শোনার জন্য জিমীতের মাকে বাহবা জানিয়েছেন নেটিজেনরা৷
সংবাদমাধ্যমে জিমীত বলেছেন, নতুন সম্পর্কের কথা তাঁকে বলতে প্রথমে দ্বিধা করেছিলেন মা৷ প্রথমে তিনি বলেন পুত্রবধূকে৷ স্ত্রীর কাছ থেকেই সব শোনেন জিমীত৷ মায়ের নতুন জীবনে তিনি খুশি৷