এক বছর আগে গাজিয়াবাদের সিদ্ধিপুর গ্রামের কুন্দনের সঙ্গে মণীষার বিয়ে হয়। প্রথম কিছু মাস ভালই কেটেছিল। কিন্তু পাঁচ মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় অশান্তি। অত্যাচারের মাত্রা এরপর দিন দিন বাড়তে থাকে৷ শেষমেশ তা পৌঁছায় চরমে৷
আরও পড়ুন: গলায় সাপ জড়িয়ে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তি! কোবরা দিল ছোবল, তারপর যা হল…
advertisement
পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চাপ দিতে থাকে, মারধর পর্যন্ত চলে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, ২০২৪ সালে মণীষার বাবা তেজবীর সিং তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে ঘরেই থাকছিলেন ওই মহিলা৷
তবে সমস্যার এখানেই শেষ হয়নি। কিছুদিন আগেই শ্বশুরবাড়ির প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য মণীষার বাপের বাড়িতে এসে তালাকের কথা তোলে। কিন্তু মণীষা জানিয়ে দেন, পণের টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তিনি সই করবেন না। এই মানসিক চাপে তিনি ডিপ্রেশনে চলে যান।
আরও পড়ুন: প্রেমের অমোঘ টান, প্রেমিকের জন্য ৫ বছরের মেয়েকে খু*ন মায়ের! দেহ ব্যাগে লুকিয়ে রাতভর চলল ফূর্তি…
মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। সকালে ঘুম ভাঙতেই পরিবারের সদস্যরা দেখেন, বিছানায় নিথর দেহ পড়ে আছে মণীষার। আর তাঁর হাত-পায়ে লেখা রয়েছে একটি সুইসাইড নোট—যেখানে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরদের বিরুদ্ধে মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। বাগপতের এএসপি এনপি সিং জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তবে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা অভিযোগও জানানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এক সাহসিনী মেয়ের এই করুণ পরিণতি সমাজের সামনে রেখে গেল অনেক প্রশ্ন—আজও কি নারীরা নিরাপদ তাঁদের বৈবাহিক জীবনে?