TRENDING:

বিরাট আউট হতেই কি হার্ট অ্যাটাক? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখতে দেখতেই মৃত্যু ১৪ বছরের কিশোরীর

Last Updated:

উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ায় টিভির সামনে বসে খেলা দেখছিলেন আইনজীবী অজয় পাণ্ডের কন্যা প্রিয়াংশী পাণ্ডে (Priyanshi Pandey)। কোহলির আউট হতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরক্ষণেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় তার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দেওরিয়া: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। টানটান উত্তেজনা। শুভমন গিল প্যাভিলিয়নে ফিরতেই ব্যাট হাতে নামলেন বিরাট কোহলি। উদ্বেল গোটা মাঠ। আরেকটা সেঞ্চুরি হবে? আশায় বুক বাঁধছিল গোটা ভারত। কিন্তু এ কি! এক রানেই আউট কোহলি!
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখতে দেখতেই মৃত্যু ১৪ বছরের কিশোরীর
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখতে দেখতেই মৃত্যু ১৪ বছরের কিশোরীর
advertisement

উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ায় টিভির সামনে বসে খেলা দেখছিলেন আইনজীবী অজয় পাণ্ডের কন্যা প্রিয়াংশী পাণ্ডে (Priyanshi Pandey)। কোহলির আউট হতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরক্ষণেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় তার। প্রিয়াংশীর বয়স মাত্র ১৪ বছর। চিকিৎসকরা হৃদরোগকেই তাঁর মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন– প্রকাশ্যে এল সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজের ৩৮ বছর আগের কথা, বন্ধুদের কথা শুনে চমকে গেলেন সন্ন্যাসী নিজেই ! আপনিও অবাক হবেন

advertisement

প্রিয়াংশীর বাবা অজয় পাণ্ডে জানান, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের পর তিনি বাজার গিয়েছিলেন। প্রিয়াংশী বাড়িতেই ছিলেন। পরিবারের সবার সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং দেখতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু কোহলি আউট হতেই শারীরিক অস্বস্তি শুরু হয় প্রিয়াশীর। আচমকাই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

ঘাবড়ে যান বাড়ির লোকজন। তাঁরা প্রিয়াংশীর চোখে মুখে জল দেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ নেই। তখন অজয়কে ফোন করে গোটা ঘটনা জানানো হয়। তিনি দ্রুত বাড়ি চলে আসেন। মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা প্রিয়াংশীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

advertisement

আরও পড়ুন– রাতের আঁধারে ৭০টি গাড়ি নিয়ে উত্তর প্রদেশের গ্রামে আচমকা হানা দিল উত্তরাখণ্ড পুলিশের বিশাল বাহিনী ! তারপর…হকচকিয়ে গেলেন গ্রামবাসীরাও

তবে কোহলি আউটের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মেয়ের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে নারাজ অজয় পাণ্ডে। তাঁর মতে, মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির বা বিরাট কোহলির আউট হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। চিকিৎসকরা মৃতের ময়নাতদন্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে অজয় রাজি হননি। তিনি মেয়ের মৃতদেহ বাড়িতে এনে শেষকৃত্য করেন।

advertisement

প্রিয়াংশীর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। তরতাজা একটা মেয়ে যে এভাবে চলে যেতে পারে বিশ্বাসই হচ্ছে না কারও। তবে তাঁদেরও দাবি, প্রিয়াংশীর মৃত্যুর সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচের কোনও সম্পর্ক নেই। ভারত সেই সময় ভাল জায়গাতেই ছিল। দ্রুত রান উঠছিল। বিরাট কোহলিও তখন ব্যাট করতে নামেননি। শারীরিক অসুস্থতা থেকেই মৃত্যু। এর মধ্যে অন্য কিছু নেই।

advertisement

অজয়ের প্রতিবেশী অমিত চন্দ্র ঘটনার সময় প্রিয়াংশীদের বাড়িতেই ছিলেন। সবার সঙ্গে বসে ম্যাচ দেখছিলেন। তিনি বলেন, “ঘটনার সময় প্রিয়াংশীদের বাড়িতেই ছিলাম। খেলা দেখছিলাম। প্রিয়াংশী যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হন তখন ভারত ভালই ব্যাটিং করছে।“ শুধু তাই নয়, ভারতের কোনও উইকেট পড়েনি বলেও জানিয়েছেন অমিত। তাঁর কথায়, “কোহলি তখনও ব্যাট করতেই নামেনি।’’

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
বিরাট আউট হতেই কি হার্ট অ্যাটাক? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখতে দেখতেই মৃত্যু ১৪ বছরের কিশোরীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল