দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ক্রমাগত প্রাপ্ত অভিযোগ এবং সিসিটিভি ফুটেজ থেকে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন খুঁজে পেয়েছে। দেখা যাচ্ছে চোরেরা বেশিরভাগ সময়েই রাতের অন্ধকারে অপরাধ় করত। তাদের লক্ষ্য ছিল উচ্চমানের SUV মডেল, হুন্ডাই ক্রেটা, টয়োটা ফরচুনার এবং কিয়ার মতো গাড়ি। চোরেরা এতটাই পেশাদার ছিল যে চুরির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা গাড়ির ইঞ্জিন এবং নম্বর পরিবর্তন করে আসল কাগজপত্র সহ বিক্রি করে দিত।
advertisement
৭ মে দিল্লি পুলিশ একটি বড় সাফল্য পায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা জানতে পারে, চুরি যাওয়া গাড়ি ডিএনডি ফ্লাইওভার দিয়ে পঞ্জাবের দিকে যাচ্ছে। গাড়ি থেকে ধরা পড়া দুই অভিযুক্তের নাম অবতার সিং ওরফে সানি অরোরা এবং হরপ্রীত সিং ওরফে হানি।
দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, দিল্লি পুলিশের দল অমৃতসরে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আরও দুই অভিযুক্ত পরমদীপ এবং মনপ্রীত সিংকে গ্রেফতার করা হয়। এই পুরো নেটওয়ার্ক থেকে পুলিশ ২১টি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করেছে। এই চক্রটি চুরি করা গাড়ি ৪-৫ লক্ষ টাকায় কিনত, তারপর একটু ‘মেকওভার’ করার পর ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করত।