আবার এই মানুষের সংখ্যাই পৃথিবীতে একটা অসাম্য তৈরি করছে। একদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অন্যদিকে ক্রমশ কমে আসা জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তায় থাকা কয়েকটি দেশ। পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে হু হু করে কমছে জনসংখ্যা। এই মুহূর্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ চিনও বেশ চিন্তিত। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের যুব নাগরিকের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসবে। একই ভাবে জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় চিন্তিত জাপানের মতো উন্নত প্রযুক্তি শক্তিধর রাষ্ট্রও। তারাও চাইছে পরিস্থিতিতে একটা বদল আসুক। তবে এর থেকে খারাপ পরিস্থিতিও রয়েছে পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে।
advertisement
আরও পড়ুন: একে অপরের মুখ থেকে কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করল যুগল! ভাইরাল ভিডিও দেখে ক্ষেপে লাল নেটিজেনরা
ভারতে যেখানে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা একটা চিন্তার কারণ, সেখানেই এই পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে যাঁরা আগামী কয়েক বছরে জনসংখ্যার অভাবের কারণে সমস্যায় পড়তে চলেছে। দেখে নেওয়া যাক এমন ৮টি দেশের পরিস্থিতি—
দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করলে সমস্যা তৈরি হবে। সারা পৃথিবীতে এমন ৮টি দেশ নিয়ে আলোচনা চলছে যেখানে ২০২০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যায় একটা দারুন ধাক্কা লাগতে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাতভিয়া, ইউক্রেন, সার্বিয়া, বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মলডোভা।
আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে ভর্তি রুবেল! কী হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’-এর সৃজনের?
গত কয়েক বছরে বুলগেরিয়ায় ২২.৫ শতাংশ কমেছে জনসংখ্যা।
লিথুয়ানিয়ায় ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ২২.১ শতাংশ জনসংখ্যা কমতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে লাতভিয়ায় ২১.৬ জনসংখ্যা কমে যাবে। ওই একই সময়ে ইউক্রেনের নাগরিক কমতে পারে প্রায় ১৯.৫ শতাংশ হারে।
২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকার দেশ সার্বিয়ার জনসংখ্যা কমতে পারে ১৮.৯ শতাংশ। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় এই হ্রাসের হার দাঁড়াতে পারে ১৮.২ শতাংশে। তিন দশকের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ায় ১৮ শতাংশ জনসংখ্যা কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ইউএসএ-এর মলডোভায় জনসংখ্যা হ্রাস পেতে পারে ১৬.৭ শতাংশ।