ছোট ছোট আঁকিবুঁকির মধ্যেই ফুটে উঠতে থাকে তার ইচ্ছের জোর। তারপর বাবার ভাঙাচোরা স্মার্টফোনটাই হয়ে উঠল তার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ইউটিউব দেখে দেখে নিজেকে গড়ে তুলতে থাকে ধীরে ধীরে। আজ সে প্রফেশনাল আর্টিস্ট। মাসে ইনকাম করছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
নতুন শ্রম আইনে মহিলাদের কী কী লাভ হল অনেকেই জানেন না! নারীদের নতুন সুবিধাগুলো দেখে নিন
advertisement
আধুনিক, সুরক্ষিত এলএইচবি কোচ পাচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের ১০ জোড়া ট্রেন! কলকাতা থেকে কোনগুলো জানুন
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের ১ নম্বর দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহলিয়া গ্রামের জগন্নাথ খাটুয়া(২৩)। ছোটবেলার সেই ছবি আঁকার শখই তাকে আজ এনে দিয়েছে পরিচয়ের আলো। তার রং-তুলির ছোঁয়ায় সাধারণ দেওয়ালও যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এলাকাজুড়ে এখন তিনি প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের কথায়, তার হাতে নাকি জাদু আছে—তুলির টানে ফুটে ওঠে চোখ ধাঁধান সব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তার ইচ্ছা ছিল কলকাতার কোনও নামী আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। তবে হার মানার পাত্র নয় সে। তাই এগরা কলেজে ভর্তি হলেন থিয়েটার বিভাগে। কারণ সে আগে থেকেই জানত এই কলেজের থিয়েটার বিভাগে নাটক চর্চার পাশাপাশি রং তুলি নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর ঠিক তাই হলও। কলেজ জীবনে অধ্যাপকদের নজরে আসে তার প্রতিভা। দেওয়াল অঙ্কনের সুযোগ আসে। কলেজের বিভিন্ন দেওয়াল তার রঙে রঙিন হয়ে উঠতে থাকে। তারপর শুরু হয় বাইরে কাজ আসা—কোথাও বাড়ির দেওয়াল ডিজাইন, কোথাও রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লেখনী—একটার পর একটা কাজ আসতে থাকে তার কাছে।
আজ মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করছে নিজের প্রতিভার জোরে। সংসারের আর্থিক অভাব অনেকটা কমাতে সক্ষম হয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা—নিজের ইচ্ছে ও পরিশ্রমেই এই সাফল্য অর্জন করেছে জগন্নাথ। কোনও বাধাই তাকে থামাতে পারেনি। তারে এই সাফল্য প্রমাণ করে—ইচ্ছে থাকলে, সাফল্য আসবেই।