শরতের আকাশটা তখনও নীল ছিল ৷ মেঘও ছিল একইরকম। তখন পুজোর মাসে মা-বাবার সঙ্গে পাড়ার দোকানে জামা বানাতে দেওয়া, নিউ মার্কেটে প্যান্ট কিনতে যাওয়া এইসবই চলত৷ অনলাইন শপিং ছিল কোথায় তখন? তখন মোবাইল ফোনও ছিল না। কত কথা মনেই জমে থাকত। কথা জমে জমে যেন পাহাড় হত মন জুড়ে। মনের মতো কাউকে পেলেই কথা হত নতুবা মনের কথা মনেই থাকত। কেউ কেউ আবার খুব সাহসী হলে, অন্য পাড়ায় গিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি দিত, মন্ত্র না বলে শুধু অন্য কারও নাম বলত মনে মনে।
advertisement
আরও পড়ুন : ঘরের ভোল বদলে দিতে পারে এই চাদর, তাকিয়ে দেখবে লোকজন
তখন ঘরে ঘরে অত বাইক ছিল না। গাড়ি ভাড়া করে রাতভর তেমন হুল্লোড়ও করত না কেউ৷ তখন মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা হত পায়ে হেঁটে বা বাসে চেপে, চেনা-অচেনা কাউকে পাশে নিয়ে ঠাকুর দেখা হত। নতুন জুতো পড়লে পায়ে ফোস্কা পড়ত খুব। কখনও কখনও জুতো হাতে নিয়েই খালি পায়ে ঠাকুর দেখত অনেকে৷ বন্ধুরা মিলে ঘুরতে বেরোলে কথা আর শেষ হত না ৷
আরও পড়ুন : পুজোয় জমিয়ে খান 'দাদা বউদির বিরিয়ানি'! দামে আরাম, স্বাদে সেরা! রইল হদিশ
তখনও উৎসবের গন্ধ একই রকম ছিল৷ চারপাশ তখনও ভেসে যেত উৎসবের আলোয়। আলো জ্বলত মনেও। সন্ধে নামত আলো হয়ে। অনেকটা মধুবালা সন্ধের মত। মন বলত, "ওর কাছে, সন্ধ্যাতারা আছে"। মন বলত, "পাগলি তোমার সঙ্গে শারদীয়া জীবন কাটাব"। জয় গোঁসাই ঝড় তুলত খুব। ঝড়ের মতো বয়ে যেত ক’টা দিন। ঠিক দশমীতে বিসর্জন হত। আসছে বছর আবার হবে বলে, পুজো তখন পাঁচ দিনেই শেষ হত। হাজারটা মন একসঙ্গে বলত "তোমায় নতুন করে পাব বলে"।