যার ফল স্বরূপ বাড়ি ভাড়া এবং ডে-কেয়ারের জন্যই শুধু প্রত্যেক মাসে তাঁদের খরচ হত ৪৬৫০০ টাকা। এত খরচ সত্ত্বেও অবশ্য ওই দম্পতির বিশ্বাস যে, এই বিষয়গুলি অপরিহার্য। যার সঙ্গে আপোস করা যাবে না। কারণ এর সঙ্গে তাঁদের শিশুকন্যার নিরাপত্তা এবং ভাল থাকা জড়িয়ে রয়েছে।
রেডিট-এ একটি পোস্ট করেছিলেন ওই দম্পতি। যদিও পরে তা মুছে ফেলেছেন। সেই পোস্টে লিখেছিলেন যে, “আমরা চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এক দম্পতি। ট্যাক্স দেওয়ার পরে আমাদের দুজনের আয় ৭৮০০০ টাকা। আমাদের একটি সাড়ে আট মাসের বাচ্চা রয়েছে। ওর জন্য আমরা একটি ভাল ডে-কেয়ার আর তার পাশেই একটি ভাড়া বাড়ি খুঁজেছি। বাচ্চা যেহেতু ছোট, তাই সে কথা মাথায় রেখেই এই দুটি জায়গা খুঁজেছি। আমরা নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং দূরত্বের বিষয়টা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
advertisement
বাড়ি ভাড়া এবং ডে-কেয়ারের পিছনেই চলে যায় ওই দম্পতির আয়ের বেশিরভাগ অংশই। এরপর তাঁদের খাওয়াদাওয়ার পিছনে তাঁদের খরচ হয় ১০০০০ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে মুদির জিনিসপত্র, সবজি-ফল এবং দুধের খরচও। এর পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর যাতায়াতের পিছনে খরচ হয় ৮৫০০ টাকা। শিশুসন্তানের বেবি ডায়াপারের পিছনে লাগে ৩০০০ টাকা। আর ইলেকট্রিসিটি এবং গ্যাসের পিছনে খরচ হয় ১০০০ টাকা করে। সব মিলিয়ে নিয়মমাফিক এই খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৭০ হাজার টাকায়। সব শেষে ওই দম্পতির হাতে পড়ে থাকে মাত্র ৮০০০ টাকা। এই বেঁচে যাওয়া টাকাটা তাঁরা সঞ্চয় অথবা যে কোনও এমার্জেন্সির জন্য সরিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন– সাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস !
ওই দম্পতি আরও জানান যে, পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তাই পরিবারের কাছ থেকেও কোনও রকম সাহায্য পান না। বর্তমানে স্ত্রী পার্ট-টাইম অথবা অনলাইনের কাজ খুঁজছেন, যাতে তিনি তা বাড়ি থেকে বসেই করতে পারেন। প্রত্যেক দিন এক ঘণ্টার জন্য ফ্রি থাকেন তিনি। সেই সময় কিছু কাজ করার জন্যই কাজের সন্ধান করছেন।