ভারতের সংবিধান অনুযায়ী 'ভোটার' কারা...? ভোটার হওয়ার ৪ শর্ত কী কী? অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন কী করে? দেখে নিন সহজ পদ্ধতি

ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে জনগণকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার আধার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতীয় সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার দিয়েছে।

ভোটদান হল এমন একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় সরাসরি ভাবে অংশ নেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে থাকেন। ভোটদান কেবল একটি অধিকার নয়, বরং একটি দায়িত্বও।

ভারতীয় সংবিধানের ৩২৬ অনুচ্ছেদ প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে (ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সি) ভোটদানের অধিকার দেয়। ভোট দান নাগরিকদের সমতা এবং অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করে।

সক্রিয় ভোটদান কেবল গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না বরং শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাও বজায় রাখে। সংসদের ৩২৬ অনুচ্ছেদটি মোট চারটি মূল শর্ত সাপেক্ষে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটদানের অধিকার প্রদান করে:

ভোটার হওয়ার জন্য ৪টি প্রধান শর্ত (ধারা ৩২৬ অনুসারে):১.ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে।২. ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে। ৬১তম সাংবিধানিক সংশোধনীর (১৯৮৮) পর, ভোটদানের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়।

৩. ব্যক্তি যে নির্বাচনী এলাকায় থাকেন, সেই এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তির নাম একই এলাকার ভোটার তালিকায় রেজিস্টার্ড হতে হবে।

৪.কোনও অবমাননা বা অযোগ্যতা নেই, উন্মাদনা, ফৌজদারি অপরাধ বা দুর্নীতির মতো কারণে ব্যক্তি আইন দ্বারা অযোগ্য বিবেচিত নন।

অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম যোগ করার পদ্ধতি :প্রথমে voters.eci.gov.in পোর্টাল অথবা “Voter Helpline App” (Google Play Store / iOS) দেখুন।এখানে “ফর্ম ৬ – নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করুন” নির্বাচন করুন।আপনার রাজ্য, বিধানসভা নির্বাচনী এলাকা এবং ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করুন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- পরিচয়পত্র (যেমন আধার কার্ড/পাসপোর্ট/প্যান কার্ড), ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন বিদ্যুৎ বিল/রেশন কার্ড/বাড়ির দলিল) এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করুন।

ফর্মটি জমা দিন - আপনি আবেদন নম্বর (রেফারেন্স আইডি) পাবেন।BLO (বুথ লেভেল অফিসার) আপনার বাড়িতে যাচাইয়ের জন্য আসতে পারেন।যাচাইয়ের পর আপনার নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে।