চন্ডীগড় ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সন্দীপ সিং। আদতে হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা। তবে সপরিবারে থাকতেন চণ্ডীগড়ে। প্রথমে দুর্ঘটনায় অধ্যাপক এবং তাঁর দুই কন্যার মৃত্যু হয়। এবার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তাঁর স্ত্রী ও মা। শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার।
advertisement
জানা গিয়েছে, দীপাবলি কাটিয়ে গাড়িতে চণ্ডীগড়ে ফিরছিলেন অধ্যাপক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে, স্ত্রী, মা, ভাই, ভাতৃবধূ এবং তাঁদের এক সন্তান। হাসি-ঠাট্টা চলছিল। চলছিল গল্পগুজব। আনন্দে মেতেছিলেন সবাই।
চলন্ত গাড়িতে বিস্ফোরণ: কুরুক্ষেত্রের শাহবাদের কাছে আচমকাই চলন্ত গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই অধ্যাপক সন্দীপ সিং এবং তাঁর দুই মেয়ের মৃত্যু হয়। স্ত্রী ও মা সহ পরিবারের ৫ জন গুরুতর জখম হন। ঘটনার পরই প্রয়াত অধ্যাপকের স্ত্রী ও মা-কে জখম অবস্থায় চণ্ডীগড়ের পিজিআই-তে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছিল।
হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রবিবার চিকিৎসারত অধ্যাপকের স্ত্রী মারা যান। বুধবার মৃত্যু হয় মায়ের। একটা দূর্ঘটনা এভাবেই প্রয়াত অধ্যাপকের পুরো পরিবারকে কেড়ে নিল। মাত্র ১১ দিনের মধ্যে এই পৃথিবী থেকে মুছে গেল তাঁদের যাবতীয় চিহ্ন।
বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ড: কুরুক্ষেত্রের দিল্লি-আম্বালা জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ঘটনাটি ঘটে ২ নভেম্বর। বিস্ফোরণের পর গাড়িতে আগুন লেগে যায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অধ্যাপক সন্দীপ কুমার (৩৭), তাঁর দুই মেয়ে পরী (৬) ও খুশি (১০), স্ত্রী লক্ষ্মী ও মা সুধেশের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় ছোট ভাই সুশীল, ভ্রাতৃবধূ আরতি এবং তাঁদের ১০ বছরের ছেলেও আগুনে পুড়ে যান। অধ্যাপক এবং তাঁর দুই মেয়ের শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক: সন্দীপ সিং মোহালির নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চণ্ডীগড় ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ছিলেন। প্রায় ৩০ বছর আগে তাঁর বাবা সোনিপত থেকে চণ্ডীগড়ে চলে আসেন। তারপর এখানেই থিতু হন। সন্দীপের ভাই চণ্ডীগড় ট্রান্সপোর্টে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।