দেগে দেওয়া হয়েছিল অশ্লীল বলে, সংসদেও চলেছিল বিতর্ক, তার পরেও শুধু 'চোলি কে পিছে' শোনার জন্য 'খল নায়ক' ছবির ক্যাসেট ১ সপ্তাহে ১ কোটির উপরে বিক্রি হয়
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
সেন্সর বোর্ডের কাঁচির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল 'চোলি কে পিছে'। যদিও সেই সময়ে একযোগে ৩২টি সংগঠন এই গান নিয়ে আপত্তি জানায়। বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছিল সংসদেও।
জনসমাজের পক্ষে শোভন নয়, বলিউডের এমন অনেক কনটেন্ট নিয়েই বিতর্ক ওঠে। সেন্সর বোর্ডের কাঁচির তলায় চলে যায় ছবির নানা দৃশ্য়। মাঝে মাঝে তুমুল আপত্তি ওঠে গানের কথা নিয়েও। ১৯৯৩ সালেই ঠিক যেমনটা হয়েছিল। সেই বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক-প্রযোজক সুভাষ ঘাইয়ের 'খল নায়ক'। মাধুরী দীক্ষিত আর সঞ্জয় দত্ত তখন রীতিমতো হিট ছবি, দুজনের সম্পর্ক নিয়ে অনেক জল্পনাও চলছে।
advertisement
advertisement
advertisement
সুরের প্রতি ঝঙ্কারে নায়িকার পদচারণা, কোমরের বিভঙ্গের জ্বরে দেশ পুড়েছে। হলে টিকিট বিক্রি হয়েছে শুধু এই গানের চিত্রায়ণ দুচোখ ভরে দেখার জন্য লাইন দিয়ে। তাতেই কিন্তু বিষয়টি থেমে থাকেনি। সেটা ছিল ক্যাসেটের যুগ। শুধুমাত্র 'চোলি কে পিছে' শোনার জন্য খল নায়ক ছবির ক্যাসেট ১ সপ্তাহে ১ কোটির উপরে বিক্রি হয়!
advertisement
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, বিতর্ক কিন্তু ছবিতে গানটির উপস্থিতি বা গানের কথার উপরে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। সেন্সর বোর্ডের কাঁচির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল 'চোলি কে পিছে'। যদিও সেই সময়ে একযোগে ৩২টি সংগঠন এই গান নিয়ে আপত্তি জানায়। বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছিল সংসদেও। শোনা যায়, সেই সময়ে এক অনুষ্ঠানে ইলা অরুণ গান গাইবেন, 'চোলি কে পিছে' গাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে বলে সোনিয়া গান্ধি সেই সভায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
advertisement
কিন্তু, নাগরিক গান এবং তার চিত্রায়ণ গ্রহণ করেছে সাদরে। আজও বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাধুরী দীক্ষিত মঞ্চে নাচলে 'চোলি কে পিছে'-র টিউন বেজে ওঠে। ২০০৮ সালে যখন 'স্লামডগ মিলিওনেয়ার' মুক্তি পায়, তখন এক সাক্ষাৎকারে ইলা অরুণ আর অলকা ইয়াগনিক দুজনেই বলেন যে ছবির 'রিঙ্গা রিঙ্গা' গানটি তাঁদের 'চোলি কে পিছে'-র সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত। মাঝে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে, শ্লীলতা-অশ্লীলতা নিয়ে বদলে গিয়েছে সমাজের ভাবনা, এখন তাই 'চোলি কে পিছে' এক কিংবদন্তি!
advertisement
যদিও ১৯৯৩ সালে ব্যাপারটা তা ছিল না। সেই বছর এই গান নিয়ে কিছু করে উঠতে পারেননি রক্ষণশীলরা। অথচ, ঠিক তার পরের বছর, ১৯৯৪ সালে যখন 'খুদ্দার' ছবিতে আলিশা চিনয়ের গলায় করিশমা কাপুরের পারফরম্যান্সে 'সেক্সি সেক্সি মুঝে লোক বোলে' শোনা গেল, নেমে এল খাঁড়া। বদলে দেওয়া হল গানের কথা। পালটে তা করা হল 'বেবি বেবি মুঝে লোক বোলে'! দূরদর্শনের পর্দায় গানের এই দুটো ভার্সনই দেখেছেন-শুনেছেন, এমন নাগরিকের সংখ্যা বড় কম নয়!