সূত্রের খবর, আগ্রা ১৫-তম কর্পসে নিযুক্ত ছিলেন পিএসসি জওয়ান কৃষ্ণ কুমার। আর অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী দিলাওয়ারের পোস্টিং ছিল হায়দরাবাদের সেকেন্দ্রাবাদে। সেখানে নিযুক্ত থাকাকালীনই অবসর গ্রহণ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, বর্তমানে এই দুই ব্যক্তিই উত্তর প্রদেশ পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়ো উত্তরপত্র বিক্রির একটি চক্র চালাচ্ছেন। প্রায় ৬ জন তাঁদের এই ফাঁদের শিকার হয়েছেন। কড়া নজরদারির ফলেই পুলিশের জালে পড়েছে তারা।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে ৬৮,০০০ টাকা নগদ, ভুয়ো উত্তরপত্র, পরীক্ষাকেন্দ্রের স্লিপ, ভোটার কার্ড, আইডি কার্ড এবং আরও অন্যান্য নকল নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তারা এই উত্তরপত্র বিক্রি করার জন্য মূলত ইনস্টাগ্রাম এবং মেসেঞ্জার ব্যবহার করতেন। এই বিষয়ে এসপি দেহাত রোহিত মিশ্র বলেন, পিএসি জওয়ান কৃষ্ণ কুমার এবং অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান দিলাওয়ারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার হলেন আগ্রা পিএসি ১৫-তম কর্পসের ২০১৯ ব্যাচের কনস্টেবল। ২০২৩ সালে আলিগড় জেলার গাভানা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পরীক্ষা আইন এবং ৬৬সি আইটি আইনের আওতায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। যার জন্য তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। ফলে ওই বছরেই তাকে বরখাস্ত করা হয়।
রোহিত মিশ্র বলেন, গত ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নিয়োগ বোর্ড। এর জন্য নজরদারি টিম কড়া নজর রেখেছিল। ইতিমধ্যেই খবর আসে কিছু মানুষ নকল উত্তরপত্র বিক্রি করছে এবং প্রলোভন দেখাচ্ছে। সেই অভিযোগেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নকল উত্তরপত্র তৈরি করেছিল অভিযুক্তরাই। এমনকী, তা বিক্রিরও চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এর বিনিময়ে অভিযুক্তরা ৭০ হাজার টাকাও নিয়েছিল। যা উদ্ধার করা গিয়েছে।