অন্তরে আজ দেখব যখন আলোক নাহিরে..."
হ্যাঁ, তাঁরা দৃষ্টিহীন৷ হয়তো জগতের আলো দেখেননি কখনও৷ কিংবা হয়তো ঝাপসা৷ তবু তো স্বপ্ন দেখেন তাঁরা৷ প্যান্ডেলে ভাসে চেনা শিল্পীর গলা। ট্রেনে গান গেয়ে দিন কাটানো মৃত্যুঞ্জয়, নবীনদেরও ইচ্ছে করে একদিন তাঁদের গান পুজো মণ্ডপে বাজবে। সেই ইচ্ছের কথাই চুঁচুড়ার এক পুজো উদ্যোক্তাদের জানান তাঁরা। তারপরেই ইচ্ছেপূরণ।
advertisement
পুজোর আলোয় এই সময়েই কিছুটা বাড়তি রোজগার। পুজোর সময়ই থাকে পুজো জলসায় গানের অনুষ্ঠান। করোনার কোপে বছর দুয়েক ধরে সবেতেই ভাটা। কমেছে পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হুগলির মৃত্যুঞ্জয়, সুজাতাদের স্বপ্ন নামি শিল্পীদের মতো তাঁদের গানও বাজবে পুজো মণ্ডপে। সেই ইচ্ছের কথাই চুঁচুড়ার এক পুজো কমিটিরর কাছে তুলে ধরেন অন্ধ শিল্পীরা। তাতেই ইচ্ছেপূরণ। পুজো কমিটির সহযোগিতায় চন্দননগরের রেকর্ডিং স্টুডিওয় চলছ গানবাজনার আসর। গান রেকর্ডিংয়ের পালা।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই কী বাড়বে মদের দাম? কী বলছে সূত্রের খবর! জানুন
আরও পড়ুন: মন্তেশ্বরের চৌধুরি বাড়িতে প্রতিমা নয়, পুজো হয় নবপত্রিকায়
বছরের বাকিদিনগুলো ট্রেনে গান গেয়ে রোজগার। খুশি হয়ে কেউ টাকা দেন। কেউ বা উপেক্ষায় মুখ ঘুরিয়ে নেন। এসব সয়েই গান গেয়ে যান মৃত্যুঞ্জয়, নবীন, সুজাতা দেবীরা। সেই জীবনের মধ্যেই এই সম্মান। পুজোর গানের রেকর্ডিংয়েই আপাতত ব্যস্ত হুগলির দৃষ্টিহীন গায়করা। এবার পুজো তাঁদের অন্য পুজো। পুজো এবার ইচ্ছেপূরণের। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার প্রস্তুতি৷