রেস্তোরাঁটির মালিক সলমন মনসুরি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আধপোড়া সিগারেটের টুকরো হাতে জবাবদিহি চাইছেন যুবকেরা। একজন বলছেন, “নিশ্চয়ই রান্নাঘরে কেউ ধূমপান করছিল। সেখান থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে।” তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন রেস্তোরাঁর এক কর্মী। মালিকপক্ষের এক প্রতিনিধিও রয়েছেন। তিনি সমস্যার সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন কুন্তল ঘোষ! শর্ত শুনলে চমকে যাবেন
advertisement
ভিনীত কে নামের এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার এক্সে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “বাবুর্চির বিরিয়ানিতে সিগারেটের অবশিষ্টাংশ।” সঙ্গে নিজের মন্তব্যও জুড়ে দিয়েছেন তিনি, “বাড়িতে বিরিয়ানি রান্না করা শিখুন, তবেই এমন ঘটনা এড়ানো যাবে।”
গত ২৫ নভেম্বর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছিল। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪,৩০০-এর বেশি ইউজার দেখেছেন ভিডিওটি। লাইক, কমেন্টও করেছেন হাজার হাজার ইউজার। প্রত্যেকেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ। রেস্তোরাঁর রাধুনিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ মজাও করেছেন।
এক ইউজার জানিয়েছেন, এই জন্যই তিনি বাড়িতে রাঁধুনি রেখেছেন। রেস্তরাঁয় যান না। লিখেছেন, “আমি রাঁধুনি রেখেছি ভাই। মাসিক ৫ হাজার।” আরেকজন লিখেছেন, “এসব দেখে রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেই ভয় লাগছে।” মজার ছলে একজনের মন্তব্য, “অতিরিক্ত স্বাদের জন্যই ওরা এটা দিয়েছে।” আরেকজন লিখেছেন, “বাটস ফ্লেভার বিরিয়ানি।”
এবারই প্রথম নয়। আগেও রেস্তোরাঁর খাবারে আরশোলা, টিকটিকি মেলার খবর সামনে এসেছে। সেই সব নিয়ে হইচইও হয়েছে বিস্তর। তারপর আবার যে কে সেই। থিতিয়ে গিয়েছে সবকিছু। এবার আধপোড়া সিগারেট নিয়েও উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হায়দরাবাদের লাখদিকাপুল এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ পরিদর্শন করেন ফুড সেফটি আধিকারিকরা। খাদ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে তিনটি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে। পরিদর্শনের সময় রেস্তোরাঁর রান্নাঘর থেকে ইঁদুর, তেলাপোকা, বাসি খাবার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য উদ্ধার হয়। এমনকী এফএসএসএআই লাইসেন্স ছাড়াই একটি রেস্তোরাঁ চলছিল বলে জানা গিয়েছে।