TRENDING:

স্বামীকে শিক্ষক বানানোর জন্য গয়না বিক্রি করেছিলেন স্ত্রী; জ্যোতি মৌর্য কাণ্ডের মাঝেই উজ্জ্বল নজির গড়লেন বিহারের দম্পতি!

Last Updated:

Bihar Woman Sanjana Story: সকলেই প্রশংসা করে বলছেন যে, সঞ্জনা নামে বিহারের ওই মহিলা আদর্শ স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর স্বামী জিতেন্দ্রও নিরাশ করেননি সঞ্জনাকে। আজ জিতেন্দ্র এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক। এমনকী সঞ্জনা নিজেও সরকারি দফতরের কর্মী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পটনা: জ্যোতি মৌর্যকে এখন কে না চেনেন! এসডিএম জ্যোতি এবং তাঁর স্বামীর বিবাদ নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা দেশ। জ্যোতির ঘটনা সামনে আসার পরে অনেক পুরুষই নিজের স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে বিহারের এক দম্পতির গল্প যেন আশার আলো জাগায়! ওই রাজ্যের জামুই জেলার এক মহিলা নিজের ত্যাগ আর শ্রম দিয়ে রীতিমতো অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্বামীর ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার জন্য নিজের গয়নাও বিকিয়ে দিয়েছেন অনায়াসে!
স্বামীকে শিক্ষক বানানোর জন্য গয়না বিক্রি করেছিলেন স্ত্রী; জ্যোতি মৌর্য কাণ্ডের মাঝেই উজ্জ্বল নজির গড়লেন বিহারের দম্পতি!
স্বামীকে শিক্ষক বানানোর জন্য গয়না বিক্রি করেছিলেন স্ত্রী; জ্যোতি মৌর্য কাণ্ডের মাঝেই উজ্জ্বল নজির গড়লেন বিহারের দম্পতি!
advertisement

সকলেই প্রশংসা করে বলছেন যে, সঞ্জনা নামে বিহারের ওই মহিলা আদর্শ স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর স্বামী জিতেন্দ্রও নিরাশ করেননি সঞ্জনাকে। আজ জিতেন্দ্র এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক। এমনকী সঞ্জনা নিজেও সরকারি দফতরের কর্মী।

আরও পড়ুন– লাস ভেগাসেই রয়েছে বিশ্বের সবথেকে দামি হোটেল; এখানে এক রাত কাটানোর খরচ শুনলে চক্ষু হবে চড়কগাছ!

advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সঞ্জনার বাবা মুঙ্গেরে বিদ্যুৎ বিভাগের লাইন ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি দরিদ্র বেকার যুবক জিতেন্দ্র শার্দুলের সঙ্গেই কন্যা সঞ্জনার বিয়ে দিয়েছিলেন। ঘরজামাই করেই রাখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আত্মসম্মান বোধের কারণে শ্বশুরের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন জিতেন্দ্র। এদিকে আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তেমন পড়াশোনাও করতে পারেননি তিনি। বাড়ির লোকেরা তাই দিনমজুরি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু বরাবরই পড়াশোনা করতে ভালবাসতেন জিতেন্দ্র। এই সময় স্বামীর পাশে দাঁড়ান সঞ্জনা। লেখাপড়ার জন্য উৎসাহ দেন এমনকী, বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া সমস্ত গয়নাও বিক্রি করে দেন স্বামীর পড়াশোনার জন্য।

advertisement

আরও পড়ুন- বাজেট ছিল মাত্র আড়াই কোটি; চার গুণ বেশি আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই বাঙালি অভিনেতার ছবি!

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

এর পর একে একে ইন্টার এবং স্নাতক পাশ করেন জিতেন্দ্র। আজ তিনি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। এই বিষয়ে সঞ্জনার কৃতিত্ব স্বীকার করে নিয়ে জিতেন্দ্র বলেন যে, তাঁর স্ত্রী যদি সেদিন গয়না বিক্রি না করতেন, তাহলে পড়াশোনার স্বপ্ন তো জলাঞ্জলি দিতে হতই! সেই সঙ্গে স্বচ্ছল জীবনযাপন করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াত। সঞ্জনার কথায়, “বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িতে একবেলা কোনও রকমে খাবার জুটত। এই পরিস্থিতিতে তিনি যাতে আরও পড়তে পারেন, তার জন্যই গয়না বিক্রি করেছিলাম। কারণ বিয়ের পরে স্বামীর সুখেই তো মেয়েদের সুখ! আমিও আবাসন সহকারী পদে কাজ করছি। ফলে আজ আমরা খুবই সুখী!’’ এমনকী ইনস্টাগ্রামে এই দম্পতির রিলও বেশ জনপ্রিয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
স্বামীকে শিক্ষক বানানোর জন্য গয়না বিক্রি করেছিলেন স্ত্রী; জ্যোতি মৌর্য কাণ্ডের মাঝেই উজ্জ্বল নজির গড়লেন বিহারের দম্পতি!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল